ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

গৌমতী নদীতে ছোট-মাঝারি জাহাজ চালানোর পরিকল্পনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
গৌমতী নদীতে ছোট-মাঝারি জাহাজ চালানোর পরিকল্পনা

আগরতলা: দু’দিনের আগরতলা সফর শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকায় ফিরে গেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

হাইকমিশনারের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে তা মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।  

তিনি বলেন, গোমতী নদীতে নৌপরিবহনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

ইতোমধ্যে উভয় দেশের বিশেজ্ঞ দল সরেজমিনে তা পর্যবেক্ষণ ও জরিপ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এখন গোমতী নদীতে ড্রেজিং করে পানির নাব্যতা বাড়িয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ চালানোর পরিকল্পনা চলছে। তা কি করে দ্রুত চালু করা যায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মোংলা ও আশুগঞ্জ বন্দরের সঙ্গে গোমতী নদীকে যাতে দ্রুত সংযোগ করা যায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর ফলে উভয় দেশ লাভবান হবে। বিশেষ করে ত্রিপুরা, নিম্ন আসামসহ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সবক’টি রাজ্য উপকৃত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে চাইছেন দেশের এ অঞ্চল আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হয়ে উঠুক।  

তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে খুব ভালো মানের চা উৎপাদন হয়। রাজ্যের চাহিদা পূরণ করে বছরে ১০ হাজার মেট্রিকটন চা বিক্রি করতে পারে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে চা আমদানি করে। তারা সে দেশ থেকে বছরে প্রায় ৬৫ হাজার কেজি চা আমদানি করে। ত্রিপুরা থেকে একই গুণমান সম্পন্ন চা বাংলাদেশ আমদানি করতে পারে। এতে তাদের পরিবহন খরচ অনেক গুণ কমে যাবে।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে যেসব ট্রাক আসে এগুলো সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের ট্রাকও বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত যেতে পারে। এ বাধা তুলে সরাসরি নির্ধারিত গুদামে চলে গেলে একদিকে যেমন সময় কম লাগবে, অপরদিকে লোড-আনলোডের খরচ অনেক কমে যাবে। উভয় দেশের ট্রাক যাতে এ পদ্ধতিতে চলতে পারে তার জন্য কথা চলছে।

তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে দু’টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এ দু’টিতে সবধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। এতে যেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের মালিকরা এসে বিনিয়োগ করেন। সেইসঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের রাবারকে ভিত্তি করে যেন সে দেশের ব্যবসায়ীরা শিল্প গড়ে তোলেন।  

‌‘ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে দু’টি সীমান্ত হাট রয়েছে। আরো দু’টির কাজ চলছে। আরো সাতটি সীমান্ত হাট তৈরির বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়টি যেন আরো দ্রুততর হয়। ’ 

এখন বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের যে সীমান্ত দিয়ে কোনো লোক ঢুকলে তাকে এ সীমান্ত দিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে। একই নিয়ম বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু ভারতের অন্য রাজ্যে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ত্রিপুরা-বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ নিয়ম যাতে উঠে যায় এ বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। হাইকমিশনার ঢাকায় ফিরে গিয়ে কূটনৈতিক স্তরে এগুলো দ্রুত করার জন্য আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad