ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

সন্ত্রাসের অভিযোগে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের কাছে সিপিআই-এম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৯
সন্ত্রাসের অভিযোগে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের কাছে সিপিআই-এম

আগরতলা (ত্রিপুরা): শান্তিপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচনকে সম্পন্ন করার দাবিতে ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ড. এমকে দাসের কাছে অভিযোগ জানালো ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই (এম) দল। 

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) আগরতলার কুঞ্জবনের রাজ্য অতিথিশালায় অবস্থানরত পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানান সিপিআই (এম) দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাসের নেতেত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।  

নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বাম প্রার্থীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।

কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কতটুকু অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে তারা চিন্তিত রয়েছে। কারণ ভারতী জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার প্রতিষ্ঠার পর পঞ্চায়েত, পুরনিগম ও নগর পঞ্চায়েতে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তার প্রায় ৯৬ শতাংশ আসনে বিরোধী প্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছিলো। তাই পর্যবেক্ষকের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষসহ বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

গৌতম দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরছেন। নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যে বিরোধীদের ওপর লাগাতার আক্রমণ চলছে। বিশেষ করে শাসক দলের দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে বামফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। গত এক বছরে সাতজন বামফ্রন্ট কর্মী খুন, ১৬শ’র বেশি কর্মী আহত ও বহু কর্মী সমর্থকদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।  

তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ভোট পড়ে, যা ভারতের মধ্যে জাতীয় স্তরের রেকর্ড। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে এই ঐতিহ্য যেনো বজায় থাকে, এর জন্য যাতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেন। এখন নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেন সেই দিকে তারা তাকিয়ে আছেন বলেও জানান গৌতম দাস।
 
এর আগেও লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিপিআই (এম) দল এবং বামফ্রন্টের তরফে দিল্লীতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনসহ রাজ্য নির্বাচন দফতরে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এসসিএন/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।