ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

বাংলাদেশ চাইলে ত্রিপুরা থেকে চা আমদানি করতে পারবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
বাংলাদেশ চাইলে ত্রিপুরা থেকে চা আমদানি করতে পারবে লোগো উন্মোচনকালে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): বাংলাদেশ চাইলে প্রক্রিয়া জাত চা পাতার পাশাপাশি কাঁচা চা পাতাও ত্রিপুরা থেকে রফতানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

ত্রিপুরা সরকারের তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সালে ত্রিপুরা রাজ্য চা উন্নয়ন নিগম গঠন করা হয়। প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেলেও ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের কোনো লোগো তৈরি করা হয়নি, এমনকি চা উন্নয়ন নিগমের উৎপাদিত চায়ের কোনো নামও রাখা হয়নি।


 
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবনে চা উন্নয়ন নিগমের একটি লোগো উন্মোচন এবং চায়ের নাম দেওয়া হয়। রাজ্যে উৎপাদিত চায়ের নাম রাখা হয়েছে ‘ত্রিপুরেশ্বরী চা’।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ রায়, লোগোর ডিজাইনার ত্রিপুরা রাজ্যের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী অপরেশ পালসহ ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে রাজ্যে ৫৪টি চা বাগান থাকার পরও ৪০ বছরেও একটি লোগো তৈরি করা যায়নি। অবশেষে চায়ের লোগো তৈরি হলো। লোগোটি রাজ্যের খ্যাতনামা পর্যটন কেন্দ্র নীরমহলকে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে করে চায়ের সঙ্গে পর্যটনেরও প্রমোশন হবে।  

তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে চা আমদানি করে। অথচ ত্রিপুরা থেকে দেড় ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে পৌঁছানো সম্ভব। শ্রীলঙ্কা থেকে চা আমদানি করতে বাংলাদেশের অনেক খরচ হয়। কিন্তু ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে খুব কম খরচে চা পাঠানো সম্ভব হবে। এতে করে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা উভয়েই লাভবান হবে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রককে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রী সুরেশ প্রভূকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ প্রক্রিয়া জাত চা পাতার পাশাপাশি চাইলে বাংলাদেশে ত্রিপুরা থেকে কাঁচা চা পাতাও নিতে পারে এবং তারা সেখানে নিয়ে প্রক্রিয়া জাতও করতে পারে। ত্রিপুরা তাদের পছন্দ অনুসারে চা রফতানি করতে প্রস্তুত।  

এদিকে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা বলেন, ভারতের প্রতিটি চা উৎপাদক রাজ্যের নিজেস্ব লোগো রয়েছে। অবশেষে ত্রিপুরা রাজ্যের চায়ের পরিচিতি পেলো। প্রতি বছর ত্রিপুরা থেকে ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়।  
এবার শিল্প বাণিজ্য মেলায় ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের উৎপাদিত ‘ত্রিপুরেশ্বরী’ চা বিক্রি শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০ ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।