ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

অভাবের তাড়নায় নিজ সন্তান বিক্রি করছে: গৌতম দাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
অভাবের তাড়নায় নিজ সন্তান বিক্রি করছে: গৌতম দাস

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে অভিযোগ করে সিপিআই (এম) দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস বলেছেন, রাজ্যের গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকায় কাজ ও খাদ্যের তীব্র সঙ্কট চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ গিয়ে পাহাড়ি এলাকা থেকে সামগ্রী সংগ্রহ করে আনছেন। এমনকি অনেকে অভাবের তাড়নায় নিজের সন্তানকে পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।

রোববার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মেলারমাঠ এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

গৌতম দাস বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে বিজেপি ফ্যাসিস্ট সুলভ আক্রমণ করছে।

বিশেষ করে সিপিআই (এম) দলের ওপর বেশি আক্রমণ চালাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর আক্রমণ আরও বেড়েছে। শাসক দলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা সিপিআই (এম) দলের পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে।

তিনি বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতিতে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বললেও এখনো কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। নতুন করে সড়ক শুল্ক, পেট্রোপণ্যের ওপর কর চাপিয়ে দিয়েছে। তবে মানুষ শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করছে।  

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৩ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে সিপিআই (এম) দলের এক হাজার ৩২২ জন পুরুষ ১৫২ জন নারীর ওপর আক্রান্ত হয়েছে। ১৫৬টি বাড়িতে আগুন ও এক হাজার ৩৪৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে পাঁচজনকে খুন করা হয়েছে।

সিপিআই (এম) দলের নতুন নতুন মানুষ আসছে। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের এমন অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী আন্দোলন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান গৌতম দাস।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসসিএন/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।