ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

উপনির্বাচন নিয়ে বামদের অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
উপনির্বাচন নিয়ে বামদের অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি শেষে উপনির্বাচন নিয়ে বামদের অভিযোগের জবাব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: বামফ্রন্টের কথা মতো ত্রিপুরা রাজ্যে পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচন হবে না। ভারতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। জনগণের ইচ্ছাতেই রাজ্যের পঞ্চায়েতের বিভিন্ন আসনে উপ-নির্বাচন হবে।

সম্প্রতি ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতের খালি আসনের উপ-নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর রাজ্যের সাবেক পঞ্চায়েতমন্ত্রী মানিক দে অভিযোগ করেছিলেন, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার মতো পরিবেশ নেই। শাসক দল বিজেপি এবং আইপিএফটি সদস্যরা বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এ অবস্থায় নির্বাচনে বিরোধী দল যথাযতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিধানসভা চত্বরে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি শেষে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে মানিক দের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বহু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা পদত্যাগ করেছেন আবার অনেকে বিজেপি এবং আইপিএফটি দলে যোগ দিয়েছেন। ফলে আসন খালি পড়ে আছে। এ আসনগুলো খালি থাকলে রাজ্যের উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাই এ আসনগুলোতে যথা সময়ে উপ-নির্বাচন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন। উপ-নির্বাচন কে ঘোষণা দিয়েছে? নির্বাচন দফতর, এটি একটি স্বয়ং শাসিত সংস্থা। বর্তমান রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। যা আগে বামফ্রন্ট করতো। তাই এখন তারা চেচামেচি করছে।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন বার বার বলেছিলেন, দ্রুত পঞ্চায়েতের খালি আসনগুলোতে উপ-নির্বাচন হোক। এখন তারাই আবার উল্টো কথা বলছেন। আসলে তারা কখন কি ভাবেন, নিজেরাই জানেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।