ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

আগরতলা

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী শোভাযাত্র‍া শুরু আগরতলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী শোভাযাত্র‍া শুরু আগরতলায় আগরতলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী শোভাযাত্রা শুরুর দৃশ্য। ছবি: সুদীপ

আগরতলাঃ বাংলাদেশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে এক মৈত্রী বাইসাইকেল ৠালি (শোভাযাত্রা) আয়োজন করেছে। বুধবার (২২ মার্চ) আগরতলার লিচুবাগান এলাকার ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ত্রিপুরা কার্যালয়ের সামনে থেকে ৠালিটি শুরু হয়।

ৠালি শুরুর আগে একটি ছোট অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার শাসক (ডিএম) মিলিন্দ রামটেক, লে. জেনারেল এ এস বেদীসহ ইন্ডিয়ান আর্মির অফিসাররা।

 

এ এস বেদী পতাকা নেড়ে ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে ৠালির সূচনা করেন। ভারতীয় সেনাজওয়ানরা বিভিন্ন যুদ্ধের কৌশল, মার্শাল আর্টসহ পাঞ্জাবিদের ভাংড়া নৃত্য পরিবেশন করে। তার পর উভয় দেশের সেনা জওয়ানরা একে একে সাইকেল নিয়ে এগিয়ে যান।

এই মৈত্রী ৠালিতে ইন্ডিয়ান আর্মির মোট ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর কে জে সিং। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্যের টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন ক্যাপ্টেন কাজী রফি ইসলাম রাতুল।
আগরতলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী শোভাযাত্রা উদ্বোধন।  ছবি: সুদীপ
ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর তরফে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজী রফি ইসলাম রাতুলকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া  হয়।

কাজী রফি ইসলাম রাতুল অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ভারতীয় ও বাংলাদেশ সেনা সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে যুক্ত। উভয় দেশের সেনারা এক সঙ্গে ট্রেইনিংয়ের পাশাপাশি নানা খেলাতেও অংশ নেয়। এ ধরনের ৠালি প্রথমবারের মত হচ্ছে। এতে সৌভ্রাতৃত্ব আরও মজবুত হবে।

লে. জেনারেল এ এস বেদী তার বক্তব্যে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভৌগলিকভাবে জড়িত। আমরা নিজেদের মধ্যে ট্রেইনিংসহ অনেক কিছুই এক সঙ্গে করে থাকি।

যৌথবাহিনীর এই টিমটি আগরতলা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লায় প্রবেশ করবে। তার পর সেখান থেকে ঢাকা হয়ে যশোরের বেনাপোল দিয়ে ফের  ভারতে প্রবেশ করবে। ৠালি শেষ হবে কলকাতায়। আগামী ১ এপ্রিল তাদের কলকাতা পৌঁছার কথা রয়েছে। এই র‍্যালিতে তারা মোট ৫শ’ ৩২ কিমি পথ অতিক্রম করবে।
 
বাংলাদেশ সময়:  ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম      

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।