ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

ঢাকার বিমানবন্দ‌র ছা‌ড়ি‌য়ে চী‌নের রেল স্টেশন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
ঢাকার বিমানবন্দ‌র ছা‌ড়ি‌য়ে চী‌নের রেল স্টেশন! সু‌জো রেল‌স্টেশন। ছবি: বাংলানিউজ

চীন (জিনান ) থে‌কে: এলই‌ডি স্ক্রিন জু‌ড়ে দেখা‌চ্ছে -কোনো ট্রেন কখন আস‌বে। জায়ান্ট সাই‌জের  স্ক্রি‌নের এতো বিশালতা যে দেখ‌তে কা‌ছে যে‌তে হ‌চ্ছে না। আর পু‌রো স্টেশনজু‌ড়ে এলই‌ডির খেলা। ডি‌জিটাল এলই‌ডি বোর্ড দি‌য়ে ঘেরা চারপাশ। এমন‌কি ওয়াশরু‌মের আয়নায়ও। এতো বিউ‌টি‌ফিকেশন ও ডি‌জিটালাই‌জেশন বাংলাদে‌শের এয়ার‌পো‌র্টেও দেখা যায়‌নি।

স্টেশ‌নে প্লাটফ‌র্মে প্র‌বে‌শের আ‌গেই যাত্রী‌দের বসার জন্য ক‌য়েক’শ আসন র‌য়ে‌ছে। সেখানে আ‌শ-পা‌শে নান্দ‌নিক সৌন্দর্য নজর কাড়ে সবার।

সু‌জো রেল‌স্টেশন।  ছবি: বাংলানিউজপ্র‌ত্যেক চীনা নাগ‌রিকই স্মার্টকার্ড ব্যবহার ক‌রে প্লাটফ‌র্মে ঢু‌কে রে‌লে চড়‌ছেন। পর্যটক বা বি‌দেশিরা পাস‌পোর্ট দে‌খি‌য়ে টি‌কিট কার্ড সংগ্রহ ক‌রে পৃথক লাই‌নে ঢুক‌ছেন।

অবাক করার ম‌তো বিষয় হ‌লো ওয়াশরু‌মে গি‌য়েও গ্লা‌সে নি‌জের চেহারা দেখার জন্য তাকালেই দেখা যা‌চ্ছে এক‌টি টাচ স্ক্রিন এলইডি ম‌নিটর। চায়‌নিজ ও ইং‌রে‌জি দুই ভাষায় স্যোশাল বার্তা সঙ্গে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপন। পুরো স্টেশনের দেয়ালজু‌ড়ে সর্বত্র স্ক্রিন আর তা‌তে চলছে বিজ্ঞাপন।

ঢাকার, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগু‌লোর বিমানবন্দরগুলোতেও এমন বিউ‌টি‌ফি‌কেশ‌নের স্বপ্ন দে‌খেন আ‌বেদ মনসুর। নি‌জের ১০০ কো‌টি টাকা ব্যয়ে বনানী বিমানবন্দর সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করে‌ছেন তি‌নি। ঢাকা ঘি‌রে তার স্বপ্ন আরও। এ কার‌ণে আরও সাংহহাই-এর ম‌তো অত্যাধুনিক স্টেশ‌নের সব‌কিছু দি‌য়ে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন সাজা‌নোর প‌রিকল্পনা কর‌ছেন।

সাংহাই সু‌জিয়ান সু‌জো রেল‌স্টেশন ঘু‌রি‌য়ে আবারও তা দেখালেন ভিনাইল ওয়া‌ল্ডের সিইও ও এমডি আ‌বেদ মনসুর। বাংলা‌দে‌শে এমন সৌন্দর্যায়ন তার ভাষায়, আর দূ‌রে নয় । ওয়াশরু‌মে গ্লা‌সে নি‌জের চেহারা দেখার জন্য তাকালেই দেখা যা‌চ্ছে এক‌টি টাচ স্ক্রিন এলইডি ম‌নিটর।  য‌দিও টেলি‌ভিশন স্ক্রি‌নের ম‌তো ছোট ম‌নিটট্রেন সাম‌নে ভিড় জ‌মি‌য়ে এখনও মানুষ ট্রেন কখন কোনো প্লাটফ‌র্মে দে‌খে।

দ্রুত গ‌তির ট্রেন চালু ক‌রে চীন যেমন তা‌দের রেল নেটওয়ার্ক বিশ্ব‌সেরা ক‌রে‌ছে। তেম‌নি ‌স্টেশনও সা‌জি‌য়ে‌ছে প্রযু‌ক্তির সব ব্যবহার নি‌শ্চিত ক‌রে।

বাংলা‌দেশকেও একই প‌থে ‌নি‌তে বেসরকা‌রি উ‌দ্যো‌গের স্বপ্ন আ‌ছে অ‌নে‌কের। ঢাকা থে‌কে চট্টগ্রা‌মের রেলরু‌টে এমন অত্যাধু‌নিক প্রাই‌ভেট রেল নামা‌তে চান আ‌বেদ মনসুর।

চারঘণ্টা দূর‌ত্বের চীন যখন রেল স্পিড ৫০০তে নি‌য়ে গে‌ছে। বাংলা‌দেশ এখনও ১০০ ছঁতে পা‌রেনি। সব‌শেষ ই‌ন্দো‌নে‌শিয়া থে‌কে আনা নতুন কোচগু‌লোর গ‌তি ১৫০ হ‌লেও ৬০ থে‌কে ৭০ তে চালা‌নো হয়।

সু‌জো থে‌কে ৩০০ কি‌লো‌মিটার পেরি‌য়ে জিনান রেলে আস‌তে দেড়ঘণ্টা লে‌গে‌ছে। আরও একঘণ্টা গে‌লে বেই‌জিং।  জিনান রেলস্টেশনে নে‌মে এখন ১৫ মি‌নিট দূর‌ত্বের এক‌টি  হোটেলে। এই ১৫ মি‌নি‌টের রাস্তা পা‌ড়ি দিতে চোখে পড়লো ১৫ লা‌খের বে‌শি এলই‌ডি লাইটের ঝলমলে আলো। জিনা‌নের এলই‌ডির গল্প অন্য‌দিন...

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসএ/এসআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।