ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

দেশের মন কাড়বে পাহাড়ি ঝর্না

রাবেয়া বসরি সুমি, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৪
দেশের মন কাড়বে পাহাড়ি ঝর্না ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ঝর্না শব্দটি শুনলেই প্রথমে হিমছড়ি আর মাধবকুণ্ডের কথা মনে পড়ে আমাদের। কিন্তু এ দুটো ঝরনা ছাড়াও আমাদের দেশে আরও কিছু  সুন্দর ঝরনা  রয়েছে।

একটু সাহসী আর দুর্গম পথ পারি দেওয়ার ধৈর্য থাকলে আপনিও উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির এসব অকৃত্রিম সৌন্দর্য।

খইয়াছড়া ঝর্না:
 
এ ঝর্নাটির অবস্থান চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। সারা বছর অল্প ধারায় প্রবাহিত হয়। তবে ঝরনার প্রকৃত রূপ দেখা যায় বর্ষা মৌসুমে। এ ঝরনাটি দেখতে চাইলে আপনাকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার হাঁটার প্রস্তুতি নিতে হবে।

সহস্রধারা ঝর্না:

সহস্রধারা ঝর্নাটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কের এই ঝর্না থেকে প্রায় সারা বছর জুড়েই পানি প্রবাহিত হয়।

হামহাম ঝর্না:

বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক ঝর্না। স্বচ্ছ পানির ঝর্নার রূপ বর্ণনাতীত। কেবল নিজ চোখেই এ রূপের সুধা পান করা যায়। এই ঝর্নাটির পানির প্রবাহ খুব বেশি। সেই সাথে ছোট ছোট জলকনা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। রোমাঞ্চকর নয়নাভিরাম এই ঝর্নাটি উচ্চতাও অনেক। তাই দীর্ঘ পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা উচু-নিচু পথ আর গহীন অরণ্য পার হয়েও প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন এই জলপ্রপাতটি দেখতে।

জাদিপাই ঝরনা:

এই অপরূপ সুন্দর ঝর্নাটি বাংলাদেশের বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্নাগুলোর মধ্যে একটি। এ কারণে এটি বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত। বর্ষাকালে জলপ্রপাতের পানি প্রবাহ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পায়। বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ জাদিপাই ঝর্না দেখতে ছুটে আসে।

নাফাখুম জলপ্রপাত:

বান্দরবানের থানচি উপজেলার মারমা অধ্যুষিত একটি এলাকার নাম রেমাক্রি। আশ্চর্য সুন্দর এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে রেমাক্রি থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার হাঁটা পথ পার হতে হয়। রেমাক্রি খালের পানি কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে নাফাখুমে এসে বাঁক নিয়ে ২৫-৩০ ফুট নিচে পতিত হয়ে সৃষ্টি করেছে নাফাখুম ঝর্না। অনেকে একে বাংলার নায়াগ্রা বলে থাকেন।

রাইখং জলপ্রপাত:

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য এটি একটি চমৎকার জায়গা। দুর্গম পাহাড়ি উচু-নিচু রাস্তা আর খাল পার হবার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি যাদের আছে তারাই এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে পারেন। রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও রাইখং জলপ্রপাত দেখতে হলে বান্দরবান হয়ে যেতে হবে। বগালেক থেকেও ১০-১২ ঘণ্টার হাঁটা পথ, সেই সাথে খাল আর পাহাড় পার হতে হয়। তবে এর সৌন্দর্য আপনার পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।  

অমিয়াখুম জলপ্রপাত:

অমিয়াখুম জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দেখার পরে আপনি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার অন্যতম জলপ্রপাত এটি। এর স্বচ্ছ প্রবাহমান জলধারায় ঝাপ না দিলে নিজের প্রতি এক রকম অবিচারই করা হবে বৈকি। তবে অবশ্যই যদি সাঁতার জেনে থাকেন।

বাকলাই ঝরনা:
 
চমৎকার এই ঝর্নাটি বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার বাকলাই পাড়ায় অবস্থিত। কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং যাওয়ার পথে এ ঝর্নাটির দর্শন নিয়ে যেতে পারেন। যাওয়ার পথেই পাহাড়ি ছোট ছোট নদী যেমন আপনার নজর কাড়বে তেমনি নয়নাভিরাম বাকলাই ঝর্না দেখে আপনি বিমোহিত হবেন।

এছাড়াও বান্দরবানে রয়েছে ঋজুক ঝর্না-শৈলপ্রপাত, রাঙামাটিতে সুবলং ঝর্না এবং খাগড়াছড়িতে আলুটিলা-রিছাং-তৈদুছড়া ঝর্না। তার বর্ণনা পেতে চোখ রাখুন বাংলানিউজে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।