ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

এভিয়াট্যুর

ইউএস-বাংলার সাফল্যের পথচলার ২০০০ দিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
ইউএস-বাংলার সাফল্যের পথচলার ২০০০ দিন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ঢাকা: এদেশের এভিয়েশন শিল্পে যুগান্তকারী নাম ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বেসরকারিখাতের এই উড়োজাহাজ সংস্থা সোমবার (৬ জানুয়ারি)  অতিক্রম করছে সাফল্যের ২০০০ তম দিন।

সোমবার ওই গ্রুপ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের বিমান পরিবহন শিল্পে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছে।

অর্জন করেছে সাফল্যের মাইলফলক।

বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক এভিয়েশন ব্যবসায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করেছিলো আজ থেকে ঠিক ২০০০ দিন আগে ৭৬ আসন বিশিষ্ট দুইটি কানাডার বোম্বারডিয়ার তৈরি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ সিরিজের এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে। শুরু থেকেই নিজস্ব ক্যাটারিং, নিজস্ব টেইলারিংসহ ইন-হাউজ ট্রেনিং সুবিধা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইন-ফ্লাইট সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সব চালু বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে সারাদেশের জনগণকে স্বল্পতম সময়ে আকাশপথের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

এখন অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহী রুটে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ২০১৬ সালের ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যাত্রা শুরু করে। এখন ঢাকা থেকে কলকাতা, চেন্নাই, মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা, চেন্নাই, দোহা ও মাস্কাট রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা।

স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৯ বছরে বাংলাদেশের বিমান পরিবহনে ইউএস-বাংলাই একমাত্র বিমান সংস্থা যা, চীনের কোনো গন্তব্য গুয়াংজু ও ভারতের চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের কাছে খুবই প্রশংসিত হয়েছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার কারণে চেন্নাই ও ভেল্লোরে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিতে যাতায়াত করতে পারছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা।

এখন ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, চারটি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। এ মাসের মধ্যে বিমান বহরে আরও দু’টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে চলেছে।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে এ বছরের জুন নাগাদ মোট ১০টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ‘ব্লু স্কাই’। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সব এয়ারক্রাফট সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত।  সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ৪শটির অধিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।

গত ২০০০ দিনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’র শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশের অধিক অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে মোট যাত্রী সংখ্যার ৪০ শতাংশের অধিক যাত্রী বহন করছে ইউএস-বাংলা। যাত্রীসেবার অনন্য নজির স্থাপন করায় স্বীকৃতিস্বরূপ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে সেরা এয়ারলাইন্স’র মুকুট অর্জন করতে পেরেছে।

দেশে-বিদেশে এখন প্রায় ১৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে। যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে চলেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে করছে আরও সূদৃঢ়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ২০০০ তম দিনের চলার পথে এ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসাকেও করেছে সুসংহত।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দু’হাজার পাঁচশ ট্রাভেল এজেন্ট রয়েছে ইউএস-বাংলার সঙ্গে যা সময়ের হিসেবে সত্যিই অকল্পনীয়। সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য সব কর্পোরেট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে অনলাইন বুকিং সুবিধা। হোম ডেলিভারি সুবিধাও রয়েছে। সারাদেশে নিজস্ব ৩০টি সেলস অফিস। এছাড়া কলকাতা, চেন্নাই, মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, কানাডা, নিউইয়র্ক এ নিজস্ব সেলস অফিস। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে স্কাইস্টার প্যাকেজ। যার মাধ্যমে শুধু টিকিটেই সুবিধা পাবে না বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ সুবিধাও পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীদের বেশ কয়েকটি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে। উল্লেখযোগ্য সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর ১৫ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারি, ওয়েজ আর্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ও গলফারদের রয়েছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ আরও নানাবিধ যাত্রী সুবিধা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রীই পরিবহন করে না সঙ্গে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের বিভিন্ন  শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খেলাধুলার উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সাফল্যে ভরা ২০০০ তম দিন অতিক্রম করার সঙ্গে যেসব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিক, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বাংলাদেশ সময়:  ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।