ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

টানা ৩ দিনের ছুটিতে বান্দরবানের হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
টানা ৩ দিনের ছুটিতে বান্দরবানের হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং

বান্দরবান: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ও শুক্র এবং শনিবার (২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি।

এ উপলক্ষে বান্দরবানের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলের ৫০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।  

দীর্ঘদিন পর হোটেল-মোটেল ও চান্দের গাড়িগুলো বুকিং হওয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। করোনার ক্ষতি, বন্যার ক্ষত এবং সর্বশেষ বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এবার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী আর ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র-শনি) সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে মোট তিনদিনের টানা ছুটিতে বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশীদের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার বেশ কিছু হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছেন পর্যটকেরা। দীর্ঘসময় পর পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি গুনতে গুনতে হঠাৎ করে বুকিং হওয়ায় খুশি বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের ম্যানেজার মো.আক্কাস উদ্দিন বলেন, আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য আমাদের হোটেলের প্রায় ৪০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। সামনের কয়েকদিনে বুকিং আরও বাড়বে আশা করছি।

আবাসিক হোটেল প্যারাডাইসের ম্যানেজার মো. নেছার বলেন, আমাদের হোটেলে ২২টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বান্দরবানে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সাতটি দল রুম বুকিং করেছেন।  

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ ছিল তবে আগামী কয়েকদিন বান্দরবানে পর্যটক আসতে পারেন।

এদিকে, হোটেলের পাশাপাশি বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে এবার বুকিং হচ্ছে অনেক চাঁদের গাড়ি আর পর্যটকদের সাড়া পাওয়ায় খুশি পরিবহন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুরিস্ট গাড়িচালক মো. কামাল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছিলাম না। যে কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। তবে সামনে কয়েকদিন সরকারি ছুটি রয়েছে, আশা করি বেশ কিছু পর্যটক বান্দরবানে ভ্রমণে আসতে পারে, কিছু ভাড়া হতে পারে।

বান্দরবান মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপভ্যান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী আর ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র-শনি) সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে মোট তিনদিনের টানা ছুটিতে বান্দরবানে আমাদের অনেক যানবাহন বুকিং হয়েছে, আশা করছি এবার কিছুটা হলেও ব্যবসা হবে।  

পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য বান্দরবানে যে দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে তার মধ্যে মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলগীরিসহ দেবতাকুম অন্যতম আর জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পর্যটকবান্ধব হোটেল-মোটেলসহ নানা স্থাপনা।

এদিকে বান্দরবান আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানে এখন পর্যটকদের জন্য প্রতিদিনই নতুন নতুন স্থাপনা তৈরির পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে, নানা সুযোগ সুবিধা, আর দীর্ঘ সময় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও বন্যার কারণে জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবারের ছুটিতে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

বান্দরবানে ভ্রমণে আসা সব পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন। তিনি বলেন, বান্দরবান পর্যটন জেলা হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত একটি নাম। বান্দরবানে ভ্রমণের জন্য অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র নিরাপত্তাজনিত কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও অন্য ছয়টি উপজেলায় পর্যটকেরা অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারছে।  

ডিসি আরও বলেন, সামনের বন্ধগুলোতে আরও পর্যটক বান্দরবানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।