এক সময় পাকিস্তান ক্রিকেটে শহীদ আফ্রিদি অলরাউন্ড পারফর্মে বিপক্ষকে ধ্বংস করতেন। আর বর্তমানে আরেক আফ্রিদি বল হাতে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিচ্ছেন।
শহীদ আফ্রিদি তিন বছর আগে অবসর নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। কিন্তু তিন বছর পর আরেক আফ্রিদি ভারতের ত্রাস হয়ে ফিরে এলেন ২২ গজে।
রোববার দুবাইয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে শাহীন শাহ আফ্রিদির দাপটেই গুটিয়ে যায় ভারত। বিরাট কোহলিরা হারে ১০ উইকেটে। এমন হার ভারত আর হারেনি, পাকিস্তানও এমন জয় আর জেতেনি। একদিনের ও টি-২০ বিশ্বকাপে আগের ১২টি ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছিল। ১৩তম ম্যাচে এসে সব জ্বালা মনে হয় এক ম্যাচেই ঢেলে দিয়েছে তারা।
শুরুতে রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। সেই ধাক্কা গোটা ম্যাচে সামলাতে পারেনি ভারত। রোহিত, রাহুল এবং পরে বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর শাহিনের উচ্ছ্বাসের ভঙ্গি দেখেই সমর্থকদের মনে পড়ে যায় অন্য আফ্রিদিকে।
শহিদ আফ্রিদি এবং শাহিন আফ্রিদি দু’জনেই উইকেট নেওয়ার পর আকাশের দিকে দু’হাত তুলে এক রকম ভাবে উৎসব করেন। আইসিসি টুইট করে লেখে, ‘একই নাম, একই নম্বর, নতুন যুগ। ’ সঙ্গে ছবি দুই আফ্রিদির।
পরে শহিদ আফ্রিদি আইসিসির সেই টুইটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘এক উৎসব, এক দল, নতুন ফলাফল। ’
এর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে কখনও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজমের নেতৃত্বে প্রথম বার সেই কাজ করে দেখাল পাকিস্তান। শহিদ আফ্রিদিরা যে কাজ করতে পারেননি সেটাই করলেন শহিন শাহ আফ্রিদিরা।
দুবাইয়ে ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই রেকর্ড জয় নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে পাকিস্তান। দুর্দান্ত জয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৫ বলে ৭৯ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এমএমএস