সেরা খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হচ্ছে বড় আসরে পারফর্ম করা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ হচ্ছে তেমনই এক মঞ্চ।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছে ছয়বার। এই আসরগুলোতে যারা ধারাবাহিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করে নজর কেড়েছেন তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে নিয়ে ‘লিডিং লাইটস’-এর তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। তালিকায় সাকিব ছাড়াও আছেন শহীদ আফ্রিদি, ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, লাসিথ মালিঙ্গাদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র সাকিব ও গেইল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক থেকে এবারের আসরেও খেলছেন। তালিকা প্রকাশ করে সাকিবের ব্যাপারে আইসিসি লিখেছে, ‘সাকিবই তালিকায় থাকা একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। সংগ্রাম করতে থাকা একটি দলের হয়ে সাকিব কতটা ধারবাহিক, তার অর্জনই তা বলে দেয়। ’
সাকিবের প্রশংসায় আইসিসি আরও লিখেছে, ‘বিশ্বকাপের প্রথম আসরে খেলা মাত্র ৮ ক্রিকেটার যারা এবারও বিশ্বকাপ খেলবেন, সাকিব তাদের একজন। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব অন্যতম গ্রেট অলরাউন্ডার। শহীদ আফ্রিদির পাশাপাশি তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টুর্নামেন্টে ৫০০ রান এবং ৩০ উইকেটের মালিক। দুই বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে বুঝা যায়, বড় উপলক্ষ পেলে তার সাফল্যের ক্ষুধা আরও বেড়ে যায়। ’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির ‘লিডিং লাইটস’ তালিকা:
শহীদ আফ্রিদি (৩৪ ম্যাচে ৩৯ উইকেট ও ৫৪৬ রান)
সাকিব আল হাসান (২৫ ম্যাচে ৩০ উইকেট ও ৫৬৭ রান)
এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩০ ম্যাচে ৩০ ক্যাচ ও ৭১৭ রান)
তিলকরত্নে দিলশান (৩৫ ম্যাচে ৮৯৭ রান)
ক্রিস গেইল (২৮ ম্যাচে ৯২০ রান)
মাহেলা জয়াবর্ধনে (৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান)
বিরাট কোহলি (১৬ ম্যাচে ৭৭৭ রান)
লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট)
কেভিন পিটারসেন (১৫ ম্যাচে ৫৮০ রান)
স্যামুয়েল বদ্রি (১৫ ম্যাচে ২৪ উইকেট)
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
এমএইচএম