পাঠকদের জন্য ইফতার সম্মন্ধে সংক্ষেপে কয়েকটি মাসআলা দেওয়া হলো-
♦ সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৩)
♦ খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব।
♦ ইফতারের সময় এই দোয়া পড়বে—‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়াআলা রিজকিকা আফতারতু। ’
অর্থ : আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
ইফতারের পর এই দোয়া পড়বে—‘জাহাবাজ্-জামাউ, ওয়াব্ তাল্লাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজ্রু, ইন্শাআল্লাহু তাআলা। ’
অর্থ: পিপাসা নিবারিত হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হলো। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)
♦ বৃষ্টির দিনে কিছু দেরি করে ইফতার করা উত্তম। শুধু ঘড়ি বা আজানের ওপর নির্ভর করা ভালো নয়। কারণ এতে ভুল হতে পারে। (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ১০৮)
♦ ইফতারের জন্য মাগরিবের নামাজকে পাঁচ-ছয় মিনিট বিলম্ব করার অবকাশ আছে। (রহিমিয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৩৭)
♦ যদি সূর্যাস্তে সন্দেহ হয়, তাহলে ইফতার করা হালাল হবে না; বরং অপেক্ষা করবে। (নাওয়াজিল, পৃষ্ঠা-১৫২; শামি, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ৩৮৩)
♦ ‘লবণ দিয়ে ইফতার শুরু করা উত্তম’—এমন বিশ্বাস রাখা কুসংস্কার। (আহকামে জিন্দেগি, পৃষ্ঠা ২৪৭)
♦ প্লেনে সফর করার কারণে যদি দিন বড় হয়ে যায়, তাহলে সুবহে সাদিক থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সূর্যাস্ত হলে, সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইফতার বিলম্ব করতে হবে। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও সূর্যাস্ত না হলে, ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার সামান্য আগে ইফতার করে নেবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ৭০)
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এমএমইউ