♦ ভুলে খাওয়া, পান করা বা স্ত্রী সহবাস করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে, আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করলে রোজা ভেঙে যায়।
(শামি, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ৩৭৫)
♦ কাঁচা চাল, আটার খামির বা একত্রে অনেক লবণ খেলে রোজা ভেঙে যায়।
♦ এমন কোনো বস্তু খেলেও রোজা ভেঙে যায়, যা সাধারণত খাওয়া হয় না; যেমন—কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথর, মাটি, কয়লা ইত্যাদি।
(আলমগিরি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ২০২)
♦ বিড়ি, সিগারেট বা হুঁকা সেবন করলে রোজা ভেঙে যায়।
(জাওয়াহিরুল ফিকাহ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৩৭৮)
♦ কানে বা নাকের ছিদ্রে তরল ওষুধ দিলে রোজা ভেঙে যায়। (এমদাদুল ফাতাওয়া, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ১২৭)
♦ দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে যদি তা থুতুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালিতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যায়। (শামি, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ৩৬৭)
♦ মুখে পান দিয়ে ঘুমিয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। (এমদাদুল ফাতাওয়া, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ১৭২)
♦ হস্তমৈথুন করলে রোজা ভেঙে যায়। (দারুল উলুম, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা ৪১৭)
♦ রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি কিংবা নাকে পানি দেওয়ার সময় কণ্ঠনালিতে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা ৪৩৩)
♦ নাকের রক্ত পেটে চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা ৪২৯)
♦ রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর সাহরি খেলে রোজা ভেঙে যাবে। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ৩৭৮)
♦ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি আসার পর তা গিলে ফেলা। (ফাতহুল কাদির, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ৩৩৭)
♦ সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে ভুলে দিনে ইফতার করা। (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৯)
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এমএমইউ