ঝিনাইদহ: স্থবির হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়াসংস্থা। প্রায় তিন বছর হতে চলেছে স্থানীয় পর্যায়ে কোন খেলা হয়নি।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটির কাছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথম দিকে খেলায় গতি এলেও ধীরেই স্থবির হয়ে আসে। ফলে স্থানীয় খেলোয়াড়রা বাধ্য হয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে খেলা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন।
ক্রীড়বিদরা জানান নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন আহ্বান করা হলেও রাজনৈতিক হস্তপে ও মামলা জটিলতায় সেখানেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।
জেলা প্রশাসক রমা রানী রায়ের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে থাকলেও স্টেডিয়াম দেখভালের কেউ নেই।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি রমা রানী রায় বাংলানিউজকে বলেন,“আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গন সচল করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মামলা জটিলতায় প্রতিনিয়তই বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ফুটবলার আহসান উদ্দীন আফাঙ্গীর জানান, এ মুহুর্তে নির্বাচিত কমিটি প্রয়োজন। কমিটি না থাকায় স্টেডিয়াম খা খা করছে। ক্রীড়ামোদিদের জন্য এটা কষ্টের। নির্বাচন না হবার জন্য তিনি প্রশাসনিক জটিলতাকে দায়ী করেন।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম অপু ক্রীড়াঙ্গনের এই রুগ্ন দশার জন্য ােভ প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসনের কারণে ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন,“জেলা প্রশাসক মহিলা হবার কারণে খেলাধুলা ও ক্রীড়সংস্থার নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ কম। ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন না হবার পেছনে জেলা প্রশাসকের ব্যর্থতা অনেক। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০