ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাঞ্জুর আহমেদের কাছ থেকে একদিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। সে সময় গড়িয়ে গেছে।
বিষয়টির গ্রহণযোগ্য সমাধানের তেমন অগ্রগতিও দেখা যাচ্ছে না। মাহমুদ নিজে থেকেও সিইও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এবিষয়ে মঙ্গলবার বাংলানিউজকে তিনি বলেন,“আমাকে কেউ তো ডাকেনি। সিইও যদি ডাকে তবে যেতে পারি। কয়েকটা দিন ভেবে দেখি। এরপর সিদ্ধান্ত নেব। ”
জাতীয় দলের অনুশীলনের সময় সোমবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ, সিইও মাঞ্জুর আহমেদ, এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন চৌধুরী মাঠে উপস্থিত হয়ে মাহমুদকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। ওই সময় বিসিবির কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে একদিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় দলের সহকারী। মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসকেও সোমবার মাহমুদ জানিয়েছেন একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। এখন ভোল পাল্টে ফেলেছেন মাহমুদ।
এদিকে বিসিবির সিইও’র কাছে মাহমুদের বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই চান না তিনি। বাংলানিউজকে টেলিফোনে মাঞ্জুর আহমেদ বলেন,“মাহমুদের বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবতে চাই না। এটা বড় কোন ঘটনা নয়। এই মাসে অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সেগুলো নিয়ে আমাদেরকে এগোতে হবে। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে হবে। ”
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এখন প্রশাসনিক বিষয়গুলোতে জোর দিচ্ছেন। অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন, কাজের পরিধি এবং বয়ষভিত্তিক দলের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জাতীয় দলের সহকারী কোচের থাকা না থাকা নিয়ে অপচয়ের মতো সময় তার হাতে নেই।
সিইও’র ব্যস্ততার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করেন পরিচালনা পর্ষদের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রভাবশালী ওই পরিচালক বাংলানিউজকে বলেন,“সুজন (মাহমুদ) অনেক বেশি কথা বলেছে। বোর্ড তার আচরণে বিরক্ত। তাকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। ”
এক মাসের নোটিশে ৫ সেপ্টেম্বর বিসিবিতে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন মাহমুদ। আগামী ৫ অক্টোবর শেষ হবে নোটিশের সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০