লন্ডন: অনেদিন পর স্বস্তির বাতাস বইছে। বিতর্ক দূরে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ইনিংস: ২৬৫/৭ (ওভার ৫০)
ইংল্যান্ড ইনিংস: ২২৭ (ওভার ৪৮.১)
লর্ডস টেস্ট থেকে স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি। ক্রিকেটের খ্যাতিমান সেই মাঠেই একদিনের সিরিজে সমতা এনেছে পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ হারের প্রতিশোধ নিয়েছে টানা দুই ম্যাচ জিতে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন কামরান আকমল (২৮)।
অন্য প্রাপ্তে ওপেনার মোহাম্মদ হাফেজ জুটি বাঁধেন আসাদ শফিকের সঙ্গে। কিন্তু গ্রায়েম সোয়ানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শফিক (১১)। দলের রান তখন ৮২। শফিক ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন হাফেজ।
সোয়ানের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ৬৪ রান করেন তিনি। হাফেজের বিদায়ের পর অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির ৩৭ ও আব্দুল রাজ্জাকের হার না মানা ৪৪ রানে লড়াইয়ের পূঁজি পায় সফরকারীরা।
গ্রায়েম সোয়ান চার উইকেট নেন ৩৭ রানে। ৪৪ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে। ১১৩ রানে গিয়ে আলাদা হয় এই জুটি। স্টিভ ডেভিসকে (৪৯) ফিরিয়ে দেন বোলার সাঈদ আজমল। আর আফ্রিদির বলে আউট হয়ে বিদায় নেন জোনাথন ট্রট (৪)।
দুই উইকেট হারিয়ে ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইংলিশরা। কিন্তু পিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আক্তারের বলে স্ট্রাউস বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে। বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৮টি চারের মার দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ের পর স্বাগতিক দলের ব্যাটিংয়ে মড়ক লাগে। ৪৮.১ ওভারে ২২৭ রান তুলতেই ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
আগের ম্যাচে ছয় উইকেট শিকারী ওমর গুল চতুর্থ ম্যাচে নিয়েছেন চারটি উইকেট। এজন্য খরচ করেছেন ৩২ রান। শোয়েব আক্তার তিনটি ও সাঈদ আজমল দুটি উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আব্দুল রাজ্জাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০