মাদ্রিদ: স্প্যানিশ লিগে রোববার বার্সেলোনা ২-১ গোলে হারিয়েছে ইউরোপা চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে।
এদিকে ভ্যালেন্সিয়া ২-১ এ হারকিউলেসকে, রেসিং সান্তারদার ২-০ তে রিয়াল জারাগোজাকে, ভিয়ারিয়াল ২-১ ব্যবধানে লেভান্তেকে ও সেভিয়া একই ব্যবাধানে জিতেছে মালাগার বিপক্ষে।
গত সপ্তাহে লা লিগায় সান্তিয়াগো বানাব্যুতে হারকিউলেসের কাছে ২-০ গোলে পরাজয়ের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে মুখিয়ে ছিলো পেপ গার্দিওলার দল। অ্যাথলেটিকোর মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটালো বার্সার খেলোয়াড়রা। ১৫ মিনিটে পেদ্রোর বানিয়ে দেওয়া বলে গোল করেন বার্সার ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি।
গোল খেয়ে চুপসে যায়নি দিয়েগো ফরলানের দল মাদ্রিদ। ২৫ মিনিটে রাহুল গারাসিয়ার গোলে খেলায় সমতা আনে স্বাগতিকরা। সাত মিনিট পর মেসির পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান পিকে। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।
ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে কাতালানরা। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে একের পর এক হানা দেয়। কিন্তু অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক ডেভিড দি গিয়ার বিশ্বস্ত হাত দুটি দলকে আগলে রেখেছে। জাবি, পেদ্রো, ডেভিড ভিয়া আর মেসিদের একক এবং দলীয় প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছেন ডেভিড।
খেলার অন্তিম মুহূর্তে ঘটে হৃদয়বিদারক ঘটনা। মেসিকে ফাউল করেন চেক ডিফেন্ডার উফালুসি। দ্বিতীয় হুলদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি (৯০ মিনিটে)। কিন্তু মেসি মাটিতে পড়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। গোড়ালির চোট নিয়ে আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্ট্রেচারে করে।
জয় পেলেও মেসির কষ্টে ব্যথিত দলের সতীর্থরা। একই সুর কোচ গার্দিওলার মুখেও। বলেন,“অ্যাথলেটিকোর বিরুদ্ধে দারুণ খেলেছে দল। আমরা খুশি। কিন্তু মেসি চোট পাওয়ায় খারাপ লাগছে। ”
তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে ভ্যালেন্সিয়া। সমান ম্যাচে বার্সেলোনার ৬ আর রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭।
এদিকে ইতালির সিরি আ’তে স্যামুয়েল ইতোর জোড়া গোলে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইন্টারমিলান ২-১ গোলে হারিয়েছে পালের্মোকে। আর জুভেন্টাস ৪-০ তে উদিনেসকে এবং নেপোলি ২-১ গোলে জিতেছে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০