ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

অজ্ঞাত বাজিকরের নতুন তথ্য

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

করাচি: লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ নিয়ে এমনিতেই সমালোচনার ঝড় বইছে ক্রিকেট বিশ্বে। নতুন করে সে আগুনে ঘি ঢাললেন অজ্ঞাত এক বাজিকর।

বললেন আগস্টে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের সব ম্যাচই ছিল পাতানো।

নিজের মুখ আড়ালে রেখে টেলিভিশন টকশোতে জনৈক বাজিকর দাবি করেন, পাকিস্তান দলে এখনো এমন দুজন খেলোয়াড় আছেন যারা অতীতে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এখনো তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

টিভি সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারের পরই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা আত্মগোপনে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস জানায়,“পুলিশ এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এফআইএ (ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) ওই ব্যক্তির ব্যাপারে তদন্ত করছে। তিনি করাচির একজন বাজিকর। ”

অজ্ঞাত নামা ওই বাজিকরের দাবি পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের জন্য ম্যাচ পাতানোর ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও অনেক নামিদামি খেলোয়াড় ফিক্সিং এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বাজির প্রক্রিয়া নিয়েও নতুন তথ্য দিয়েছেন তিনি,“এটা ভুল ধারনা যে ফিক্সিং গুলো মুঠোফোনের মাধ্যমেই হয়। অধিকাংশ সময় ল্যান্ড ফোনে যোগাযোগ হয়। স্পট ফিক্সিং আর ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি ইংল্যান্ড থেকেই ঠিক হয়। ”

টিভি টকশোতে করাচির ওই বাজিকর বলেন“ভারতে বাজিকরদের সবচেয়ে বড় বাজার। সেখানেই স্পট ফিক্সিং বেশি হয়। ”

কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হওয়ার মত তথ্য দিয়েছেন নাম পরিচয়হীন ওই বাজিকর। জানালেন, ফিক্সিং ব্যবসায় এমন প্রতিনিধি আছেন যারা ক্রিকেট বোর্ডের হয়েই কাজ করেন।

বড় বড় বাজিকররা মূলত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই বাজির ব্যাপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিনিধিদের দিয়েই খেলোয়াড়দের প্রলোভন দেখায় ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।

বাজিকরের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে সাবেক এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“তিনি যেহেতু নির্দিষ্ট করে কিছ্ইু বলেননি তাই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা কঠিন। যদি সে সত্যি বলে থাকে তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব তাকে খুঁজে বের করা। আটক করে তার কাছ থেকে তথ্য নেওয়া। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।