ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

মাহমুদকে থেকে যেতে সিডন্সের অনুরোধ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০
মাহমুদকে থেকে যেতে সিডন্সের অনুরোধ

ঢাকা: খবরটা শোনার পর একটু বিস্মিত হলেন জেমি সিডন্স। মন্তব্য করতে চাইলেন না।

কাছেই দাঁড়িয়ে গল্পে মশগুল খালেদ মাহমুদের কাছে ছুটে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে জেনেও গেলেন চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে সত্যিই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কাছে পতদ্যাগ পত্র দিয়েছেন সহকারী কোচ।

ঘটনার আকস্মিকতায় একটু বিস্মিত দেখালো সিডন্সকে। বাসায় ফেরার জন্য বেরিয়ে গেলেন। বিসিবি অফিসের সামনে অপেক্ষমান গাড়িতে ওঠার আগে খালেদ মাহমুদ এবং সিডন্স কাছাকাছি হলেন। আবেগ ছুয়ে গেলো দুজনকেই। অভিমান জড়ানো কন্ঠে সিডন্স সহকারীকে ‘বললেন কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলতে পারতে’। এরপর আরো অনেক কথা হলো দুজনের মধ্যে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহকারী কোচ বললেন তোমার হাতে তো সবই দিয়ে রেখেছি। বোলিং মেশিনে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করা। বোলারদের দেখভালের দায়িত্ব। নেট সেট করা। অনেক অনেক কিছু। তবু কেন ছেড়ে যাবে।

অনেক দায়িত্বের মাঝেও যে স্বকীয় উপস্থিতি নেই। গর্ব করার মতো কিছুই করা হয় না। ভবিষ্যতে বলার মতোও কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না জাতীয় দলের সহকারী কোচ। সঙ্গে আর্থিক বৈষম্য তো আছেই। প্রধান কোচকে এসব বুঝিয়ে বলেন মাহমুদ। কিন্তু সময়টা আবেগের। সিডন্স কয়েক বার মাহমুদকে অনুরোধ করলেন সিদ্ধান্ত বদলাতে। চট করে কিছু বললেন না মাহমুদ। সিডন্স হয়তো আশা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। খানিক বাদে মাহমুদও চলে গেলেন।

বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ এবং স্পিন বোলিং কোচ নেওয়ার পর সহকারী কোচ হিসেবে নিজের ভূমিকাটা বুঝতে পারছিলেন না মাহমুদ। অস্বস্তি বোধ করছিলেন। নিজেকে মুক্ত করতেই বিসিবির চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।

সিডন্সকে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও ধারণা দিলেন মাহমুদ। বলেন,“আমি এখানে নির্দিষ্ট কোন দায়িত্ব পালন করছি না। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে কোচিং ক্যারিয়ার ভালো হবে না। বরং জাতীয় লিগে কোচিং করালে অনেক কিছু শিখতে পারবো। নিজের সাফল্য ব্যর্থতা দেখাতে পারবো। কাব কোচিং করিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ারও সুযোগ আছে। অতএব আমি কেন এখানে থাকবো?”

কিন্তু সিডন্স কিছুতেই বিশ্বকাপের আগে সাজানো সংসারে সামান্য শূন্যতা দেখতে চান না। কারো চলে যাওয়া তো নয়ই। সে জন্যই সহকারী কোচকে অনুরোধ করেছেন।

৫ সেপ্টেম্বর বিসিবির উপ মহাব্যবস্থাপকের কাছে পদত্যাগ পত্র দেন মাহমুদ। একমাস সময় হাতে রেখে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু বিসিবি তার পদত্যাগ মেনে নেয়নি। উল্টো উপ মহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন চৌধুরী সহকারী কোচের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিলেন। মাহমুদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু কোচ কিছুতেই থাকতে চাইছেন না।

এবিষয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য জালাল ইউনুস শুক্রবার বাংলানিউজকে বলেন,“আমরা তাকে অব্যাহতি দেইনি। কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধান করবো। আশা করি সে (মাহমুদ) আমাদের কথা রাখবে। ”

তবে পদত্যাগ পত্র দেওয়ার আগে জাতীয় দলের সহকারী কোচ বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করলে ভালো হতো বলে জানান জালাল ইউনুস।

এদিকে খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, বিবিসি চাইলেও আর চাকরি করবেন না। পদত্যাগের মাধ্যমেই নিজের চূড়ান্ত মতামত জানিয়ে দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।