ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডর্টমুন্ডের গোল উৎসব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডর্টমুন্ডের গোল উৎসব দর্শকশূন্য মাঠে অর্লান্দের গোল উদযাপন। ছবি: টুইটার

দুই মাসেরও বেশি সময়, প্রায় ৬৫ দিন পর মাঠে ফিরেছে ইউরোপের ফুটবল। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইমরাসের (কোভিড-১৯) কারণে মার্চে স্থগিত হয়ে যায় চলতি মৌসুমের সব ধরনের ফুটবল আসর। অবশেষে ফুরালো অপেক্ষার প্রহর। করোনার মধ্যেও জার্মান বুন্দেসলিগা দিয়ে ইউরোপে ফিরলো ফুটবল। 

দর্শকহীন ফাঁকা গ্যালারি। লোক সমাগম বলতে কেবল দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ, ক্লাব কর্মকর্তা, রেফারি, নিরাপত্তাকর্মী, মেডিক্যাল দল, ফটোগ্রাফার ও সাংবাদিক।

জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল) কর্তৃপক্ষ আগেই নিয়ম করে দিয়েছে, ৩০০ জনের বেশি লোক মাঠের ভেতর থাকতে পারবে না। কিভাবে ম্যাচ চালাতে হবে তা নিয়ে ৫১ পৃষ্ঠার এক নির্দেশিকাও দেওয়া হয় ক্লাবগুলোকে। ‘ক্লোজড ডোর’ ম্যাচ হলেও অবশ্য উত্তেজনার কমতি ছিল না ম্যাচে।  

শনিবার (১৬ মে) প্রত্যাবর্তনের প্রথম দিনে একই সময়ে মাঠে নামে দশটি দল। জায়ান্টদের মধ্যে ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যাচও। ফেরার ম্যাচে নিজেদের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে লুসিয়ান ফাভরের শিষ্যরা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শালকে’কে।  

এতদিন পরে মাঠে ফিরলেও অবশ্য পা দু’টোতে জং ধরতে দেননি আর্লিং ব্রট অর্লান্দ। ২৯তম মিনিটে থোরগান হ্যাজার্ডের পাস থেকে শালকের জালে বল জড়িয়ে দেন ২০১৯-২০ মৌসুমে ইদুনা পার্কে যোগ দেওয়া ১৯ বছর বয়সী নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড।  

এরপর প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জুলিয়ান ব্রান্ডের পাস থেকে ডর্টমুন্ডকে ফের এগিয়ে দেন রাফায়েল গুরেইরো। আগে ৬৩তম মিনিটে জোড়া অর্লান্দের পাস থেকে জোড়া গোলেরও দেখা পান তিনি। এর  বিরতি থেকে ফিরে ৪৮তম মিনিটে ব্যবধানটা ৩-০ করেন হ্যাজার্ড। এবারও গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন ব্রান্ড।  

এই জয়ে বুন্দেসলিগার পয়েন্ট তালিকার আগের স্থানটা ধরে রেখেছে ডর্টমুন্ড। ২৬ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় আছে বিভিবি’রা। এক ম্যাচ কম খেলে ডর্টমুন্ডের চেয়ে এক এগিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।