লাহোর: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য প্রতারণার অভিযোগে সাতজন ক্রিকেটার, ক্রীড়া মন্ত্রী ইজাজ জাখারানি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান ইজাজ বাটের নামে সমনজারী করেছেন লহোরের আদালত।
প্রাদেশিক উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ইংল্যান্ডে যে সব খেলোয়াড়রা তদন্তের অধীনে রয়েছেন, তারাসহ ক্রীড়া মন্ত্রী ও পিসিবির প্রধানকে আগমী ৭ সেপ্টেম্বর অবশ্যই আদালতে হাজির হতে হবে।
ইশতিয়াক আহমেদ নামে স্থানীয় এক আইনজীবী সোমবার প্রতারাণার অভিযোগ এনে মোট নয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। দোষ প্রমাণ হলে ক্রিকেটারদের আজীবন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের অনুরোধ জানান আদালতকে। এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের কথাও বলেছেন তিনি।
রোববার লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ও শেষ টেস্টে নো বল করার জন্য ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠে পাকিস্তানের সাত ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে।
পাকিস্তানে বিচার কার্যে দীর্ঘসূত্রিতা সাধারণ ঘটনা। তবে এ মামলার ব্যাপারে একজন আইন বিশেষজ্ঞ বললেন অভিযুক্তরা যদি পরপর তিনবার শুনানিতে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে বিচারাধীন আদালত তাদের গড়হাজির ধরে নেবে।
স্থানীয় আইনজীবী আজহার সিদ্দিকী মনে করেন,“মামলা ফাইল করা হয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে। অতএব আমরা আশা করব তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ”
সাত ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও বাজিকর মাজহার মাজিদ নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদককে অধিনায়ক সালমান বাট, কামরান আকমল, মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ আমেরের নাম প্রকাশ করেছেন। বাকি তিনজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
শুক্রবার বৃটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে বাজিকর মাজিদের মধ্যস্থতায় জুয়াড়িদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক সালমান বাটসহ মোট সাতজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘন্টা, আগস্ট ৩১, ২০১০