ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের জয়, সৌম্যের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের জয়, সৌম্যের সেঞ্চুরি সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে বিসিবি একাদশের জয়। ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ

পারফরম্যান্স ধারাবাহিক নয় কারণ দেখিয়ে যে সৌম্য সরকারকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মূল সিরিজ দেওয়া হলো, সেই সৌম্যই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করলেন সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বিসিবি একাদশ। 

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বেশ তাড়াহুড়োই করেন দুই ওপেনার। মিজানুর ও ফজলে রাব্বির শুরুটা বেশ নড়বড়ে করেন।

তবে অল্প সময়ই ধাতস্থ হয়ে ওঠেন। দুজনের জুটি বেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রান আউটে ভাঙে তাদের জুটি।

সেঞ্চুরির পর উচ্ছ্বসিত সৌম্য সরকার।  ছবি: শোয়েব মিথুন

ব্যাক্তিগত ৮ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন মিজানুর। তিন নম্বরে নামেন প্রস্তুতি ম্যাচের অধিনায়ক সৌম্য সরকার। চোখ ধাঁধানো সব শটে দ্রুত রান তোলেন তিনি। কিন্তু ১৫তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ফজলে রাব্বি। ৩৪ বলে ১৩ রানেই ফেরেন তিনি।  

এর পর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি বিসিবি একাদশকে। ১০২ রানে অপরাজির থাকেন সৌম্য। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। আর এদের হাতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিজেদের ইনিংস শেষ করে জিম্বাবুয়ে।  

কোচের কাছ থেকেও অভিনন্দন পান সৌম্য।  ছবি: শোয়েব মিথুন

প্রথমে যেমন এই দুই বোলার উইকেট নেওয়া শুরু করেন মাঝের বোলাররা তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। শেষের দিকে তারা বল করতে এসে শেষ করে দেন জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা পরিষদের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে সফরকারী জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ বিসিবি একাদশ।

এবাদত এবং সাইফউদ্দীনের বোলিং তোপে মাত্র ১৭৮ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ২৮ বল বাকি থাকতেই ফিরে যান রাজা-মাসাকাদজারা। ম্যাচ জিততে ১৭৯ রান লক্ষ্য দাঁড়ায় বিসিবি একাদশের সামনে।  

ছবি: শোয়েব মিথুন

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ক্রেইগ আরভিনকে (১) তুলে নেন এবাদত হোসেন। পরের ওভারের শেষ বলে সফরকারীদের অন্যতম ভরসা ব্রেন্ডন টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাইফউদ্দীন। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৬ রান রান করতে পারেন টেলর।

তৃতীয় উইকেটে উইকেটে সময় নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। কিন্তু আবারও আঘাত হানেন এবাদত। ফেরান উইলিয়ামসকে। প্রথম স্পেলে ৫-২-৭-২ নিয়ে শেষ করেন এবাদত।  

দলীয় ২৮ রানে সিকান্দার রাজাকে ফেরান মোহর শেখ অন্তর। আর ৪৭ রানের মাথায় ইমরান আলীর বলে আউট হয়ে ফেরেন পিটার মুর।  

অধিনায়ক মাসাকাদজা এবং সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা মিলে ২৮ ওভারে ১২৪ রানের জুটি করেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ৪৪তম ওভারে চিগুম্বুরাকে বোল্ড করে দেন সাইফউদ্দিন। ৪৭ রানে ফেরেন তিনি। তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাসাকাদজা।  ১৩৪ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কার মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশি সময় থাকতে পারেননি। এবাদত ফেরান তাকে।  

তার উইকেট নিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এবাদত। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচায় তিন উইকেট নেন সাইফ। এছাড়া মোহর শেখ ও ইমরান আলী একটি করে উইকেট নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad