ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

অমির অল-রাউন্ডার হওয়ার স্বপ্ন

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০
অমির অল-রাউন্ডার হওয়ার স্বপ্ন

ঢাকা: অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশ লাগে। বাড়তি গুরুত্বও পাওয়া যায়।

জহিরুল ইসলাম অমি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যন হিসেবে। এখন তার পরিচয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। এভাবেই নিজেকে দেখতে পছন্দ করেন।

জাতীয় দলে অমির অন্তর্ভুক্তি হয়েছে নাটকীয়ভাবে। এ বছর মার্চে রকিবুল ইসলাম অপ্রত্যাশিত ভাবে ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দিলে নির্বাচকরা বেছে নেন তরুণ এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানকে। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ডে টেস্ট এবং একদিনের সিরিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস সফরেও ছিলেন।

ব্যাটসম্যান হিসেবে যতটা সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন, উইকেট কিপার হিসেবে তেমন সুযোগ হয়নি। মুশফিকুর রহিম চোখে চোট পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে ইংল্যান্ডে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন।

বিকল্পের তালিকায় থাকতে ভালো লাগছে না অমির। নিজেকে তাই পুরোদস্তুর প্রস্তুত করতে চেষ্টা করছেন পাকা উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে। চেষ্টা করছেন মানে উঠে পড়ে লেগেছেন। কোচ, নির্বাচক প্রত্যেকের আশ্বাসে হাতের বিশ্বস্ত গ্লাভ জোড়াকে কাজে লাগাতে প্রস্তুত হচ্ছেন। অমি জানান,“জেমি আমাকে উৎসাহ দেন। নির্বাচকরাও বলেছেন কিপিংটা চালিয়ে যেতে। কিপিংটা ভালো হলে আমার এবং দলের জন্য উপকার হবে। ”

উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ঢাকা লিগে খেলার ইচ্ছে অমির। আগের কাব বাংলাদেশ বিমান থেকে এবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অথচ বিমানের প্রধান কিপার থাকবেন মুশফিকুর রহিম। অমির এতে আপত্তি নেই। মুশফিকের সঙ্গে মিলেমিশে উইকেট কিপিং করতে চান।   বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন,“হয়তো মুশফিকই কিপার হিসেবে খেলবে। আমিও চেষ্টা করবো কিছু ম্যাচে কিপিং করতে। অবশ্য প্র্যাকটিস তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ”

জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে অমি এই প্রথম। সব কিছুই তার কাছে নতুন। সবকিছু দারুণ উপভোগ্যও হয়ে উঠেছে তরুণ ক্রিকেটারের সামনে,“জাতীয় দলের হয়ে এর আগে ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করিনি। এই প্রথম প্র্যাক্টিসের সুযোগ পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। প্রতিটি সেশন অনেকটা সময় ধরে হচ্ছে। বিশেষ করে ফিল্ডিং, ব্যাটিং, উইকেট কিপিং। ”

অমির দৃষ্টিতে প্র্যাকটিসের সুযোগ সুবিধা যথেষ্ট। অনেকটা সময় ধরে একেকটি সেশন হচ্ছে। ফিল্ডিং কোচেরও প্রশংসা করলেন অমি,“আমাদের ফিল্ডিং কোচ ছোট ছোট স্কিল নিয়ে কাজ করছেন। কিছুদিন পরে হবে কঠোর অনুশীলন। উনি যখন স্পেশালিস্ট ফিল্ডিং কোচ অবশ্যই ভালো কিছু হবে। সব দিক মিলিয়ে এবার পরিপূর্ণ একটি দল মনে হচ্ছে আমার কাছে। ”

ব্যাক লিফট এবং সুইংয়ে কিছুটা সমস্যা ধরা পড়েছে। শুধরে নিলেই পাক্কা ব্যাটসম্যান। বলেন,“ আগে কখনোই এতো ভালো কোচিং পাইনি। জেমির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ব্যাক লিফট, ব্যাক সুইং এই দুটো ঠিক হলে জোরে ব্যাটিং করতে হবে না। আস্তে ঠেলে দিলেই হবে। ”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে সাহস লাগে। একটু বেশি সাহস। বাকিটা অভিজ্ঞতা আর স্কিল। আর সাহসের ভিত্তি কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলা। তার মতে,“ ঘরোয়া ক্রিকেটে লুজবল বেশি থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লুজবল একটু কম আসে। ওখানে সাহসটা একটু বেশি দরকার। সাহস কম থাকলে সফল হতে পারবো না। ”

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘন্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।