ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

টাইগার-এলিন ছাড়াছাড়ি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০
টাইগার-এলিন ছাড়াছাড়ি

ওয়াশিংটন: অনেক চেষ্টার করেও সংসার বাঁচাতে পারলেন না টাইগার উডস। বন্ধন ছিন্ন করে দিয়েছেন এলিন নর্ডেগ্রেন।

ছয় বছরের সংসার জীবনের ইতি হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে।

এলিনা সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন গলফ সম্রাট টাইগার উডসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে নিয়েছেন। স্বামীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়র পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়। গত বছর ২৭ নভেম্বর থেকে সংসার ভেঙ্গে যায় যায় অবস্থা। ছেলেমেয়ে নিয়ে আলাদাও থাকতে শুরু করেছিলেন এলিনা।

আদালতের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন উডস। এরপর বরফ কিছুটা গলে। কিন্তু বোঝা যায়নি সেটা ছিলো সাময়িক। স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক মন থেকে মুছে ফেলেতে না পারায় অবশেষে বিচ্ছেদ।

একই ছাদের নিচে বসবাস না করলেও ছেলে-মেয়েদের সুখের জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন তারা। যৌথ বিবৃতিতে বলেন,“আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে দীর্ঘদিনের সম্পর্কটা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য। তবে একে অন্যের জন্য শুভকামনাও করলেন উভয়েই।

৩৪ বছর বয়সী উডস এবং সাবেক সুইডিশ মডেল এলিনার আলাদা হলেও সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভাবনায় উভয়েই কষ্ট পাচ্ছেন,“সাংসারিক জীবন স্থায়ী করতে না পারলেও নিষ্পাপ দুটি শিশুর অভিভাবক আমরা। সন্তানদের সুখের বিষয়টি আমাদের দুজনকেই ভাবতে হবে। ”

উডসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য জুলাইয়ে পিটিসন করেন এলিন। দুজনের সম্মতিতে বিচ্ছেদ কার্যকর হয় সোমবার ফোরিডার পানামা সিটির একটি আদালতে। সন্তানদের দেখভালের জন্য এসময় আদালতের কাছে সম্মিতিও নেন তারা। অভিভাবক বিষয়ক চার ঘন্টার একটি কাসও করেন। আদালতের প্রমাণ পত্রে দেখা যায়, আগামী নভেম্বরে ওরল্যান্ডের বাড়ি ছেড়ে কাছাকাছি অন্য কোথাও থাকবেন এলিন।

এলিনের সঙ্গে ২০০৪ সালে ঘর বাঁধেন উডস। তিন বছরের কন্যা স্যাম এবং এক বছর নয় মাসের ছেলে চার্লি এতদিন উডস পরিবারে সংসারে আনন্দ বিলিয়েছে। এখন চাইলেও তারা মা-বাবাকে যখন তখন কাছে পাবে না। এক সঙ্গে তো নয়ই।

১০ মিনিট শুনানির পর স্থায়ী বিচ্ছেদ। সংসার ভাঙ্গনেও ১০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে খরচ হয়েছে বলে মিডিয়ার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের খবর জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর গলফ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন উডস। প্রায় ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকায় ফর্মও হারিয়েছেন। মাঝে ওরল্যান্ড বাড়ির কাছে সড়ক দুর্ঘটনারও শিকার হয়েছেন। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে থাকে উডসের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের নানা কাহিনী।

শোকে কাতর গলফ তারকা তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন,“আমি যে কাজ করেছি তা মেরামত করা সম্ভব নয়। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি অনুতপ্ত। বিশেষ করে আমার স্ত্রী আর সন্তানদের কাছে। ”

নতুন প্রজন্মের কাছে গলফার হিসেবে আদর্শ ছিলেন উডস। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের খবর প্রকাশের পর তাতে খানিকটা ভাটা পড়েছে।

বাংলাদেশ সময: ১৭৫৯ ঘন্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।