ঢাকা: জিপি-বিসিবি একাডেমি ভবনের দুরাবস্থা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভবনের ভেতরের স্যাঁত স্যাঁতে এবং প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ার কারণ অনুসন্ধান শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে একাডেমি ভবনটি বাইরে থেকে দেখতে আধুনিক এবং সুরম্য। সাত মাস আগে ছয় কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্থাপত্য। এরই মধ্যে ভেতরের কক্ষগুলোয় দেওয়ালের গা থেকে প্লাস্টার খুলে পড়ছে। দেখেই মনে হবে স্যাঁত স্যাঁতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কার্নিশ দিয়ে বৃষ্টির পানি ভেতরে ঢোকে।
আসবাব পত্রগুলোও উন্নত মানের নয়। সাধারণ মানের খাট পেতে দেওয়া হয়েছে জাতির গর্ব ক্রিকেটারদের জন্য। অনেকটা বাধ্য হয়েই সেখানে থাকেন একাডেমির ক্রিকেটাররা।
আগামী বছর জানুয়ারি মাসে এই ভবনেই জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্প হবে। এখনও প্রাথমিক দলের অনেক ক্রিকেটার একাডেমি ভবনে উঠেছেন।
জাতীয় এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব যাতের হাতে সেই বিসিবিও এতদিন বিষয়টিতে নজর দেয়নি। হঠাৎই গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন কর্মকর্তারা। ভবনের প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য নকশা প্রস্তুতকারী বসত আর্কিটেক্সারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী। এখন বিসিবিই মাঠে নামবে।
বসতের নকশায় ভবন তৈরির কাজ করেছে দেশ বিল্ডার্স। সাত মাস আগে থেকে বিসিবি ভবন ব্যবহার করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো তা বুঝিয়ে দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘন্টা, আগস্ট ২০১০