ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বক্তব্যে চাঙ্গা হলেন ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১০
বক্তব্যে চাঙ্গা হলেন ক্রিকেটাররা

ঢাকা: “আমি রক্ত-কষ্ট-অশ্রু দেবো, তোমাদেরও দিতে হবে। ” একটি মাত্র বাক্যই অনুভূতিকে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

  মস্তিস্কের সচেতন কোষগুলোকে উদ্দীপ্ত করতে এটি অনেক বড় স্লোগান। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে শব্দগুচ্ছ চয়ন করেছেন নতুন ফিল্ডিং কোচ জুলিয়ান ফাউন্টেন।

২৬ সদস্যের প্রাথমিক দলের অনুশীলন রোববার থেকে। শনিবার ছিলো তারই পূর্ব প্রস্তুতি। খেলোয়াড়, কোচ, ট্রেনার, ফিজিওসহ জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা মিলে ঘন্টা খানেকের বৈঠক করেন মিরপুরের জিপি-বিসিবি একাডেমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সাংবাদিকদের জানালেন, সকালের ওই সভাতেই ক্রিকেটারদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান ফাউন্টেন।

প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের মূল্যাবান কথার ফাঁকে মাত্র চার থেকে পাঁচটি বাক্য দিয়ে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে নিজের বক্তব্য শেষ করেন এই ইংলিশ কোচ। তার মূল্যবান কথার অন্যতম অংশ হলো,“তোমরা (ক্রিকেটার) বাংলাদেশের জন্য খেলবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। তোমাদেরকেই সবকিছু করতে হবে। ”

আসলে দায়টা ক্রিকেটারদেরই। মাঠে ক্রিকেটাররাই খেলেন। ভালোমন্দো তাদের ওপরই নির্ভর করে। কোচ, ট্রেনাররা ভুল শুধরে দিতে পারেন। খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে জানেন। এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।

সভার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্বকাপকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নেওয়া। অধিনায়কের ভাষ্যমতে,“কোচ জেমি সিডন্স বার্তা দিয়েছেন, ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে। শুধু ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। ”

আপাতত নিউজিল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু হবে। সিডন্স প্রথমিক প্রস্তুতি পর্বকে নাম দিয়েছেন ‘স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং’। একাডেমি ভবনে নড়াইল এক্সপ্রেস সাংবাদিকদের জানান,“আমাদেরকে বিশেষ কিছু স্কিল শিখতে হবে যা অন্যদের জানা নেই। সেটাই হবে আমাদের অস্ত্র। ”

গতানুগতিক ব্যাটিং, ফিল্ডিং এবং বোলিং দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করা যায় না। বিশেষ করে বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোতে হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই স্কিল উন্নয়ন প্রশিক্ষণ চলছে এবং চলবে বলেই জানিয়েছিলেন জেমি সিডন্স।

বিশ্বকাপ! সাফল্য! আবেগ! এই শব্দগুলো তাড়িয়ে নেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। জেমি সিডন্স উত্তাপটা টের পাচ্ছেন। ক্রিকেট উন্মাদ জাতি প্রিয় দলের সাফল্য দেখতে মুখিয়ে থাকবে। হয়তো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করবেন সবাই মিলে। দল প্রস্তুত করতে আদাজল খেয়ে লেগেছেন সিডন্স। এখন থেকে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সবকিছুই দেখভাল করবেন জেমি। বিশেষ করে বোলিংয়ের ওপর নজর রাখবেন বলে জানান অধিনায়ক।

ভ্রমণ কান্তি নেই। বেশ কিছুদিন হলো পরিবারের সঙ্গেই আছেন। আগামী ছয় মাসে বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে না। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হবে দেশের মাঠে। পরিবারের কাছাকাছি থাকার অবারিত সুযোগ থাকছেই। এতে মন ভালো থাকবে বলেই জানান মাশরাফি,“এই বিশ্রামটা দরকার ছিলো। সবার জন্যই ভালো হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে দেশের বাইরে কোন সিরিজ নেই। আমার মনে হয় সবাই খুবই ভালো থাকবে। ”   

কারো পরোনে জিন্স প্যান্ট, কেউ ফর্মাল পোশাকে, অনেকে ট্রাউজার-গেঞ্জি পড়ে সভাতে এসেছেন। বোঝাই যাচ্ছে ফুরফুরে মেজাজেই আছেন ক্রিকেটাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘন্টা, আগস্ট ২১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।