ঢাকা: ফ্রান্স জিতবে, না মেক্সিকো? এ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সমাধান পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে তখন মধ্যরাত পেরিয়ে। খেলা শেষ হতে হতে গভীর রাত। ৯০ মিনিটের ওই লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কনকনে শীতেও ঘাম ঝড়বে খেলোয়াড়দের শরীর থেকে। অভিযাত্রা সফল করতে মরিয়া হয়ে উঠবে উভয় দল। উদ্দেশ্য পরের ধাপে জায়গা করে নেওয়া।
দুই দলের হাতে এক পয়েন্ট করে থাকায় নকআউট পর্বে পৌঁছাতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই উভয়ের। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে ম্যাচ শেষ করায় কিঞ্চিৎ এগিয়ে আছে মেক্সিকো। অন্যদিকে উরুগুয়ের সঙ্গে গোলশূন্য থেকেই ম্যাচ শেষ করেছে ১৯৯৮’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ফরাসি দলের কোচ রেমন্ড ডমেনেখই এগিয়ে রাখছেন প্রতিপক্ষকে। তার দৃষ্টিতে,“তারা খুবই ভাল দল। যে কোন প্রতিপক্ষকেই রুখে দিতে পারে। ইতালির বিপক্ষে তাদের খেলা দেখে আমি মুগ্ধ। ম্যাচে কোন ভাবেই তাদেরকে বলের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া যাবে না। তা না হলে বিপদ আছে। ”
বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে প্রীতি ম্যাচে ইতালির মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারিয়েছে মেক্সিকো। ফর্মে থাকা উত্তর আমেরিকার এই দলটি ফ্রান্সকে এখন আর ভয়ের চোখে দেখে না। তাদের মাঝমাঠের খেলোয়াড় গেরার্দো তোরাদো সে কথাই বলেছেন,“আমরা ফ্রান্সের তারকাদের বিপক্ষে খেলছি না, খেলছি ১১ জন ফুটবলারের বিপক্ষে। ”
তবে জয় পেতে তাদের যে মরণকামড় দিতে হবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই তার মনে। বলেন,“ আমাদেরকে অবশ্যই যোদ্ধা হতে হবে। ”
ফ্রান্সই বা কম কিসে। আক্রমণভাগ জোরালো করতে থিয়েরি হেনরিকে একাদশে নিয়ে আসবেন কোচ ডমেনেখ। আক্রমণাত্মক কৌশল ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে খেলবে ফরাসিরা। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে মেক্সিকোর বিপক্ষে গা ঝাড়া দিয়ে জয় তুলে নিলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯৩৭ ঘ. ১৬ জুন, ২০১০
এসএ