ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

খেলা

মারিয়ার গোলে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
মারিয়ার গোলে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফুটবলে বাংলাদেশের এ বছরটি মন্দ কাটেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুইটি শিরোপাসহ আছে একটি রানার্সআপের মুকুটও।

তবে, ফুটবলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিল বয়সভিত্তিক ফুটবল দলের পারফরমেন্স।

শুরুটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ দিয়ে। ৮ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলের আসর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে মালয়েশিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরে রানার্সআপ হবার গৌরব লাভ করে মামুনুল ইসলামরা। বছরের শুরুতে জাতীয় দল শিরোপা হাতছাড়া করলেও আগস্টে শিরোপা জয় হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আগস্টের ১৮ তারিখ সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে লাল-সবুজের যুবারা।

পরের শিরোপাটি আসে কাঠমান্ডুতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলের ফাইনালে। স্বাগতিক নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে বছরের শেষ আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তুললো বাংলাদেশের তরুনীরা। ।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কাঠমান্ডুর আর্মি ফিজিক্যাল ট্রেনিং মাঠে জয়ের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই মাঠে নেমেছিলেন কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। আর মাঠে নেমে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশ দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে সফরকারী বাংলাদেশ। এদিন কৃষ্ণা রানীদের দাপটে খেলা শুরুর প্রথম সাত মিনিট বল একবারের জন্যও পায়ে রাখতে পারেনি স্বাগতিক নেপাল। তবে ৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে পড়েছিল নেপালের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা। কিন্তু রেফারি ‍অফসাইড ডেকে বসলে তাদের সেই আক্রমণ ব্যর্থ হয়।

নেপালের আক্রমণভাগ এদিন ব্যর্থ হলেও সফল হয়েছে বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে নিয়ে দারুণ এক আক্রমণে নেপালের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে তাদের জালে বল জড়ান মারিয়া। আর তাতেই উল্লাসের উপলক্ষ আসে বাংলাদেশ দলে। কারণ, প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ তে এগিয়ে থেকে শিরোপা জয় থেকে লাল-সবুজের দল তখন কয়েক মিনিট দূরে।

নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ে ব্যাকফুটে যাওয়া নেপাল খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে নতুন করে আক্রমণ রচনা করতে চাইলেও সফরকারীদের সুরক্ষিত রক্ষণভাগের কারণে তা হয়ে না উঠায় ১-০ তে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের বিরতিতে যায়।

প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই কৌশলী খেলা খেলেছে সফরকারী বাংলাদেশ। আক্রমনাত্মক না খেলে পুরোটাই রক্ষনাত্মক। তাতে ফল এসেছে ইতিবাচক।

ফলে খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেদের লিড ধরে রেখে এবং নেপালকে একবারেই গোলের সুযোগ না দিয়ে, ১-০ এর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের তরুনীরা। ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর২০১৫
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।