ঢাকা: ব্রাজিল সমর্থকদের অপেক্ষার পালা ফুরোচ্ছে। হুলিয় সিজার, লুসিও, কাকা এবং রবিনহোদের-ও।
জোহানেসবার্গের এলিস পার্কে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে বারটায় জনবিচ্ছিন্ন কোরিয়ার বিপক্ষে শৈল্পিক ফুটবল উপহার দিতে প্রস্তুত ফুটবলের চারণভূমি ব্রাজিল। মাঠে থাকবে ছন্দময় ফুটবল, গ্যালারিতে থাকবে সাম্বা নাচ। দেশে বসেও তার উত্তাপ ঠিকই পাবেন ব্রাজিলিয়রা।
কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়ায় কী হবে বলা মুশকিল। কারণ বিশ্বকাপের খেলাই দেখতে পাচ্ছে না দেশটির জনগণ। স্যাটেলাইট সিগন্যাল না পাওয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল কোরিয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এমনকি জং তায়ে সে’র দেশের মানুষের অনুভূতিও জানার উপায় নেই বহির্বিশ্বের মানুষের পক্ষে।
বলা হচ্ছে বিশ্বকে চমকে দিতে আসছে উত্তর কোরিয়া। ১৯৬৬ সালে যেমন হতবিহবল করে দিয়েছিলো ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে। প্রথম খেলতে নেমেই জায়গা করে নিয়েছিলো কোয়ার্টার ফাইনালে। ৪০ বছর হলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের বড় পরিসরে নেই উত্তর কোরিয়া। এশিয়ার এই ফুটবল বিস্ময়কে নিয়ে ভয়ে আছে ব্রাজিলও। তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সব মিলিয়ে রহস্যের জালে ঘেরা উত্তর কোরিয়া বাজিমাত করে দিতে পারে প্রথম ম্যাচেই।
কিন্তু প্রতিপক্ষ দল ব্রাজিল। দুঙ্গার নেতৃত্বে যারা দুর্দান্ত ফর্মে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে তারাও নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন আর কৌশল সাজাতেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। খোদ ব্রাজিলের সাংবাদিকরাও খুব বেশি তথ্য পাচ্ছেন না দুঙ্গার কাছ থেকে। বোধহয় মাঠেই বাজিমাত করার ইচ্ছে থেকেই ঘাপটি মেরে আছেন কোচ দুঙ্গা।
পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ভান্ডারে আছে ফুটবল ম্যাজিক। দলের প্রত্যেকেই এক একজন ফেনোমেনন। উত্তর কোরিয়ার রহস্যের জাল ছিড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সব কৌশল কাকাদের জানা।
সেটাই জানান দিলেন রবিনহো,“অনেকদিন হলো আমরা প্রস্তুত। এই বিশ্বকাপে সাফল্যের ব্যাপারেও আশাবাদি। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২১৩১ ঘ. ১৪ জুন, ২০১০
এসএ