কলম্বো: অবশেষে ড্র হলো ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। শুক্রবার শেষ দিনের ৭০ মিনিট বাকি থাকতেই দুই দলের অধিনায়কদের আর না খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যদিয়ে ড্র দিয়েই সমাপ্তি হয় কলম্বো টেস্টের।
শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস-৬৪২/৪ডি. দ্বিতীয় ইনিংস-১২৯/৩ডি.
ভারত: প্রথম ইনিংস-৭০৭
পঞ্চম ও শেষ দিনে সব উইকেট হারিয়ে ৭০৭ তোলে ভারত। এতে ৬৫ রানে এগিয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা চার উইকেটে ৬৪২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিলো।
জবাবে শেষ দিনে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। থারাঙ্গা পারানাতিভানা ৩৪, তিলকারতেœ দিলশান ১৪ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা করেন অপরাজিত ৪২ রান।
পরে দ্বিতীয়বার আর মাঠে নামেননি ধোনিরা। ম্যাচে ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়ক-ই।
পাঁচদিনের এ টেস্টে ভারত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরেরও রেকর্ড গড়লো। গত বছর মুম্বাই টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৭২৬ রান করেছিলো ভারত। এবার সব উইকেট হারিয়ে করে ৭০৭ রান।
খেলায় শচীন টেন্ডুলকার টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ৪৮তম শতক করার পাশাপাশি করেন পঞ্চম দ্বিশতকটিও। তিনি করেন ২০৩ রান। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেই শতক করেছেন সুরেশ রায়নাও। কিন্তু কলম্বো টেস্ট দাগ কাটবে বীরেন্দ্র শেবাগের মনে। কারণ শতক থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফিরে ছিলেন তিনি।
দুই ইনিংস মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হরভজন সিং ও শেবাগ। এছাড়া অভিমুন্য মিঠুন, প্রজ্ঞান ওঝা ও ইশান্ত শর্মা নেন একটি করে উইকেট।
সিংহলিজ স্পোর্টস কাব গ্রাউন্ডে মুরালি উত্তর যুগে সাঙ্গাকারার নেতৃত্বে লঙ্কানরাও নিজেদের চিনিয়েছেন নতুনভাবে। ক্যারম বলের জাদুকর অজান্তা মেন্ডিস ভারতীয়দের ভালোই ভুগিয়েছেন এ টেস্টে। পেয়েছেন ৪টি উইকেটও। এছাড়া দিলশান ৩টি, সুরাজ রানদিভ ২টি ও ১টি উইকেট নেন দিলহারা ফার্নান্দো।
শুধু বোলার নয় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরাও কম যাননি। সাঙ্গাকারা করেন টেস্টের সপ্তম দ্বিশতক। এছাড়া মাহেলা জয়াবর্ধনে ও থারাঙ্গা পারানাভিতানাও স্পর্শ করেন শতকের ঘর।
তিনটি টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা।
সিরিজে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ৩ আগস্ট থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘন্টা, জুলাই ৩০, ২০১০