ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মুরালির বিদায় গল্প

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০
মুরালির বিদায় গল্প

গলে: ‘‘আমি খুবই খুশি যে প্রভু আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আট উইকেট এবং জয়।

এটা আমার কাছে অসাধারণ এক মুহূর্ত। ’’

এমন আবেগী কথা মুত্তিয়া মুরালিধরনের মুখেই মানায়। সত্যিই তাকে অঢেল দিয়েছেন প্রভু। সাফল্যের পর সাফল্য। বিদায়ী সাফল্যটা একটু বেশি ভালো লাগে। কারণ এরপর আর কোন টেস্ট নেই। গলের সাফল্য নিয়ে ম্যাচ পরের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন মুরালিধরন।

মহানায়কের মুখেই শোনা যাক: আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলছি না। সত্যি বলতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এ জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। একেবারে শেষ উইকেট পর্যন্ত। এই টেস্ট ম্যাচটাকে খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম।

প্রজ্ঞান ওঝার উইকেট দিয়ে মাইফলক স্পর্শ করেন সিংহলিজ জাদুকর। কাকে আউট করে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছেছেন সেটা কিংবদন্তির কাছে মুখ্য নয়। আসল হলো অর্জন।

তার মতে,“৮০০ উইকেট হলো একটি সংখ্যা। সেটা কোন বিশেষ ব্যক্তিত্বকে দিয়ে পূরণ করতে হবে এমন নয়। আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত উইকেট তুলে নিতে। কারণ গলের আবহাওয়া সম্পর্কে বিশ্বাস নেই। ম্যাচ জয়ের জন্য উইকেট শিকারই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। ”

জয়ের জন্য রেকর্ডকের কথাও ভাবেননি সিংহ পুরুষ। বলেন,“আমি অধিনায়ককে বলেছিলাম যে কোন মূল্যে উইকেট তুলে নিতে হবে। কারণ আমরা গলের আবহাওয়া সম্পর্কে জানি। বিদায়ী ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে খুবই উদগ্রীব ছিলাম। আমরা সবাই জয়ের জন্য খেলেছি। ”

তরুণদের জায়গা করে দিতেই একটু আগেভাগে সরে গেলেন সিংহলিজদের প্রাণ পুরুষ,“আমি ১৮ বছর ধরে খেলছি। আমার বয়স এখন ৩৮। দলে আরো তিনজন ভালো স্পিনার আছে। আমার মনে হয় তাদেরকে সুযোগ দেওয়া ভালো। আমার আর কিছুই দেওয়ার নেই। অতএব এখনই সরে দাঁড়ানোর উপযুক্ত সময়। ”

“আমি প্রথম টেস্ট দিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছি। কারণ আমি জানি হাঁটুর অবস্থা। ৫০-৬০ ওভারের পর বোলিং করা সম্ভব হবে না। আমি যদি থাকি তবে চারজন স্পিনার হয়ে যাবে। খেলবে দুজন। একজন তরুণ স্পিনারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ”

নিজের প্রিয় মাঠে সাফল্য পেয়েছেন। পেয়েছেন গলে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অকৃত্রিম ভালবাসা। সে কথাই বলেছেন বিদায় বেলায়,“গলে আমার অন্যতম ফেবারিট একটি মাঠ। কারণ এখানে সবসময়ই রেজাল্ট আসে। ওয়ার্নপুরা খুবই ভালো উইকেট বানিয়েছিলেন। পুরো স্টেডিয়াম অবিশ্বস্যরকম সাজানো হয়েছে। দারুণ এক বিদায় হলো আমার জন্য। ”

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২২৪৪ ঘন্টা, জুলাই ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।