গলে: একদিকে মুরালির স্পিন জাদু অন্যদিকে মালিঙ্গার পেস আক্রমণ গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ব্যাটিং। ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানোই মহেন্দ্র সিং ধোনির সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ১৮১ রান তুলেছে সফরকারী দল। শ্রীলঙ্কার ৫২০ রানের জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস ধ্বসে যায় ২৭৬ রানে। ফলোঅন ডেকে ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠান স্বাগতিক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। সেখানেও মালিঙ্গার তোপের মুখে হোঁচট খায় ধোনি বাহিনী। দুই ইনিংস মিলিয়ে লঙ্কানদের এক ইনিংসের সমান রান তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা ভয়ঙ্কর দল বিষয়টি জানাই ছিলো ভারতের। তাই বলে এভাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে বোঝা যায়নি। বৃষ্টি বাঁধা ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
বৃহস্পতিবার সকালে ইনিংসের বাকিটা ধ্বসিয়ে দিলে, গলে টেস্টে অবধারিত হার লেখা হবে ভারতের নামের পাশে। সেটা হলে বিজয় মালা গালায় জড়িয়ে পাঁচদিনের ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে পারবেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হলে টেস্টের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে ভারত। পাঁচ উইকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষদিনটা কোন মতে পার করতে পারলেই ড্র মেনে শেষ হবে টেস্ট। অন্যথা হলে সাফল্য তুলে নেবে শ্রীলঙ্কা।
মহানায়কের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে সিংহলিজরা যেকোন মূল্যে টেস্ট জিততে চাইবে। সেক্ষেত্রে ভয়ংকর হয়ে উঠবেন বোলাররা। মুরালি নিজেও উইকেট শিকারে মুখিয়ে আছেন। ৮০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে এখনো দুই উইকেট বাকি। লক্ষ্য পূরণে শেষ ভেল্কি তো দেখাবেনই। দোসরা অস্ত্রটা শেষবারের মতো কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের পরাজয় নিশ্চিত করেই হয়তো মাঠ ছাড়বেন টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটের মালিক।
একদিনে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৩ উইকেট হারিয়েছে ভারত। যার পাঁচটিই গেছে মুরালির দখলে। দুই ইনিংসে মোট ছয় উইকেট নিয়েছেন মহানায়ক। আগের দিনের তিন উইকেটে করা ১৪০ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামে ভারত। সেখানে আরো ১৩৬ রান যোগ করতেই বাকি সাত উইকেট হারায়। বীরেন্দ্র সেবাগের সেঞ্চুরির পরও ফলোঅন এড়াতে পারেনি। কারণ বাকিদের ব্যাট থেকে বড় স্কোর আসেনি।
শেবাগ ১০৯ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ১১৮ বলে, ১৯টি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে। এছাড়া যুবরাজ সিং ৫২ এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি করেন ৩৩ রান।
মুরালিধরন পাঁচটি এবং লাসিথ মালিঙ্গা দুটি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শেবাগ এবং গৌতম গম্ভীর সুবিধা করতে পারেননি। তবে শচীন টেন্ডুলকার ৮৪ রানে এলবিডব্লু হয়েছেন মালিঙ্গার বলে। রাহুল দ্রবিড় আউট হয়েছেন ৪৪ করে। ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং ধোনিই এখন যা ভরসা।
দ্বিতীয় ইনিংসে মালিঙ্গা পেয়েছেন তিন উইকেট। মুরালিধরন একটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘন্টা, জুলাই ২১, ২০১০