ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে বিসিবি

সেকান্দার আলী, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে বিসিবি

ঢাকা: বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রীতিমত নগদ টাকা খেসারত গুণতে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সংযোগ ফি হিসেবে প্রতিমাসে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে।

শুধু ফ্লাড লাইটের জন্য বছরে দিতে হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা। অথচ বগুড়া স্টেডিয়ামে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর সাড়ে তিন বছরে একবারের জন্যও ফ্লাড লাইট জ্বালানো হয়নি। খরচ হয়নি বিদ্যুৎ। কিন্তু এ সময়ের ৬৩ লাখ টাকার বিল বিসিবির ঘাড়ে চেপে বসেছে।

এতদিন হয়ে গেলেও অদ্ভুত এ নিয়মের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বিসিবি। তবে এর সমাধান পেতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। শনিবার এনএসসির অর্থ ও পরিকল্পনা পরিচালক আব্দুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

এনএসসি জানিয়েছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিসিবিকেই এর সমাধান করতে হবে। সেক্ষত্রে ফ্লাড লাইট জ্বালানো সাপেক্ষে বিল পরিশোধের চুক্তি ছাড়া এ থেকে পরিত্রান নেই।

নিজামউদ্দিন চৌধুরী সোমবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান বগুড়ার ফ্লাড লাইট জটিলতা থেকে নিস্তার পেতে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজছেন তারা।

তিনি বলেন,“শুধু বগুড়া নয় প্রতিটি স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত সবধরণের জটিলতার সমাধান খোঁজা হচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। আশা করি শিগগিরই একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবো। ”

শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের উল্টো চিত্র মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখানে বিল দিতে হয় বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর। ফ্লাড লাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয় না।

তবে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এখানেও জটিলতা আছে। স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকানিরা বিল জমা দেয় এনএসসির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের আবাসিক কোয়ার্টারের ৩২টি পরিবারও বিদ্যুৎ বিল দেয় এনএসসিকে। অথচ বিসিবিকে বলা হয় পুরো স্টেডিয়ামের সব বিল পরিশোধের জন্য।

এনিয়ে টানা হেঁচড়া কম হয়নি। কয়েকদিন আগে ফতুল্লাহ স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিলো। তিনদিন পর আংশিক বিল পরিশোধ করে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়।

রাজশাহী স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট খুলে আনায় ওই ভেন্যুর বিদ্যুৎ জটিলতা থেকে এখন কিছুটা মুক্ত বিসিবি। তবে এখনই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে না পারলে ভবিষ্যতে আরো বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ফাড লাইট বসানো হবে। সেদিক থেকে শুধু বিদ্যুৎ বিল দিতেই বছরে কোটি কোটি টাকা চলে যাবে বিসিবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘন্টা, জুলাই ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad