গালে: মাত্র একটি দিন পার হয়েছে। এখনই গল টেস্টের ভাগ্য নিয়ে ভবিষ্যবাণী করার ঝুঁকি নেবেন না ক্রিকেট বোদ্ধারা।
প্রথম দিন শেষে তাঁদের স্কোরের দিকে তাকালে ক্রিকেট প্রেমিদের ভালো লাগবে। হাস্যোজ্জ্বল একটি দিন পার করেছে স্বাগতিক দলটি। রোববার ২ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছে কুমার সাঙ্গাকারা বাহিনী।
মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুড়ি, আলো স্বল্পতার কারণে দিনের পুরো ৯০ ওভারও খেলা সম্ভব হয়নি। ৬৮ ওভার ব্যাটিং করেই এতটা এগিয়েছে লঙ্কানরা। প্রশংসা না করলেই নয়। দুটি শতক এসেছে পড়ন্ত বিকেলের আগেই।
এককথায় দারুণ ব্যাটিং নৈপূণ্য দেখিয়েছেন অধিনায়ক সাঙ্গাকারা আর থারাঙ্গা পারানাভিতানা। ইটের ওপর ইট রেখে যেমন ইমারত গড়া হয় ঠিক সেভাবেই কোন অঘটন ছাড়া রানের পর রান তুলে সেঞ্চুরি করেছেন তাঁরা দুজন।
১২টি চারের মার দিয়ে ১৪৫ বলে ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে লঙ্কান দলপতি কিনা আউট হলেন অনিয়মিত বোলার বীরেন্দ্র শেবাগের বলে। ক্যাচ দিয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের হাতে। এই একটি মাত্র ভুল ছাড়া চোখে পড়ার মতো তেমন কিছু দেখা যায়নি কুমারের ইনিংসে। ক্যারিয়ারে ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরি যোগ করার আগে আকাশ পথে শট খেলার খুব একটা চেষ্টা করেননি।
কুমার ফিরলেও সেই শুরু থেকে উইকেট আগলে রেখে ১১০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান থারাঙ্গা পারানাভিতানা। ২০১ বলে ১১টি চার দিয়ে অভিষেক শতক পেলেন বাহাতি এ ব্যাটসম্যান। আর ১১০ রান তুলেছেন ২২৯ বলে। নিরাপদে থাকার জন্য মাথার ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেননি।
স্বাগতিকরা অন্য যে উইকেটটি হারিয়েছে সেটি তিলকারত্নে দিলশানের। ধুমধাড়াক্কা শুরু করেছিলেন। টিকে থাকলে ভারতের জন্য দিনটি আরো খারাপ হয়ে যেতো। ২৫ রান তুলেছেন ২৪ বলে। যার মধ্যে ৬টি চারের মার আছে। অভিমন্যু মিথুন তাকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করায় সকালে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনীর দল।
গলের আকাশের কালো মেঘের ছাড়া এসে পড়েছিলো ভারতের বোলারদের মুখে। এভাবে বেধড়ক মার খেলে কারোই স্বাভাবিক থাকার কথা নয়। রহিত শর্মা ১৪ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে খালি হাতে হোটেলে ফিরেছেন। প্রজ্ঞান ওঝা এবং অভিজ্ঞ হরভজন সিং শুধুই নিরাশ হয়েছেন। হরভজন তবু রানটা চেক দিতে পেরেছেন। ১৭ ওভারে ৪১ খরচ হয়েছে তাঁর। তবে ওঝা সমান ওভারে খরচ করেছেন ৬৬ রান।
লঙ্কানদের জন্য এই টেস্টের আবেদন একটু বেশি। কুমার সাঙ্গাকারাদের অনেক পুরনো সঙ্গী স্পিন জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন এখান থেকেই। যিনি বছরের পর বছর দলকে জয় উপহার দিয়েছেন তার জন্য এক চিলতে সাফল্য উপহার দেওয়ার চেষ্টা অবশ্যই করবেন সতীর্থরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘন্টা, জুলাই ১৮, ২০১০