ঢাকা: অভিমান থেকে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন রকিবুল হাসান। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ক্রিকেটে ফিরবেন না।
ফেলে আসা অতীত মুছে, রকিবুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে। সেই কথা মনে করিয়ে দিতে লাজুক হেসে বাংলানিউজকে বলছিলেন,“এখন মনে হয় বাচ্চাদের মতো কাজ করেছিলাম। হাসি পায়, লজ্জাও লাগে। তবুও আল্লাহকে ধন্যবাদ, উনার ইশারায় ভুল বুঝতে পেরেছিলাম। তা না হলে বিশ্বকাপটাই খেলা হতো না। ”
বিশ্বকাপ বাঙ্গালীর প্রাণের স্পন্দন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখেন ভালো খেলবে তাদের প্রিয় দল বাংলাদেশ। রকিবুলেরও একই বিশ্বাস,“দেশের মাটিতে খেলা হওয়ায় মানুষের প্রত্যাশা একটু বেশি। প্রত্যেকে চায় আমরা ভালো খেলি। আমরাও সেই চেষ্টা করছি। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সফল হতে সাহায্য করেন। ”
বড় ভাই শফিকুল ইসলামের হাত ধরে ক্রিকেটে পা রাখেন জামালপুরের ছেলে রকিবুল। বিভিন্ন মাঠে ঘুড়ে বেরিয়েছেন ভাইয়ের সঙ্গে। সেই ছোট্ট ছেলেটি এখন ক্রিকেট মাঠে দেশের প্রতিনিধি। বড় ভাইয়ের কাছে এখনো সেই ছোট্টটিই আছেন,“আমার বড় ভাই ক্রিকেট খেলতেন। উনাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। অনেক মাঠে গিয়েছি। আমি যখন দ্বিতীয় বিভাগে খেলি, ভাইয়া তখন আমেরিকান এক্সপ্রেসে কাজ করেন। উনার আন্তরিক চেষ্টায় এই পর্যন্ত আসা সম্ভব হয়েছে। ”
গ্রামের সাধারণ ছেলে থেকে জাতীয় তারকা বনে যাওয়ায় মানুষের কাছে কদর বেড়ে গেছে রকিবুলের পরিবারের। বিশেষ করে পরশীদের কাছ থেকে নিঁখাদ ভালোবাসা পান বলে জানালেন রকিবুল,“সবার দোয়ায় এই পর্যন্ত এসেছি। এবারও দোয়া চাই বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্য। আমার বিশ্বাস দেশবাসীর দোয়া নিয়ে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ ভালো খেলবো। ”
স্বপ্নের বিশ্বকাপ বাস্তবে ধরা দিয়েছে। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আরেকটি স্বপ্ন। সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। বাকিটা রকিবুলের মুখেই শুনুন,“যখন ছোট ছিলাম তখন টিভিতে খেলা দেখে বিশ্বকাপ লেখার কথা মনে মনে ভাবতাম। সত্যি সত্যি বিশ্বকাপ খেলবো ভাবতেই কেমন লাগে। আমরা কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারি। ”
এতটাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রকিবুল প্রত্যাশার গন্ডি বেঁধে রাখতে পারেননি। বিশ্বকাপ জিতলে কি হবে জানতে চাইলে বলেন,“তা হলে তো এই বিশ্বে থাকবো না, ওয়াল্ডে চলে যাব। হা হা..”
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১