মাদ্রিদ: বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইনাল খেলেই শিরোপা দেখলো স্পেন। খুশির জোয়ার দেশ জুড়ে।
লাখো মানুষের ঢল নেমেছিলো মাদ্রিদে। জাতীয় পতাকার সঙ্গে মিল রেখে অনেকেই সেজে ছিলেন সোনালী-লাল পোষাকে। হৈ-হুল্লোড়, অবিরাম জয়োল্লাস চলছে। ছেলে-বুড়ো সবাই আনন্দে আত্মহারা। কারণ ফুটবলে নব জন্ম হয়েছে স্পেনের।
অন্যদিকে আমস্টারডামে বড় টিভি পর্দায় বিশ্বকাপ দেখতে সমবেত হওয়া প্রায় দুই লাখ মানুষের সমাবেশে পিন-পতন নীরবতা। অথচ উৎসবের কতো আয়োজনই না সেরে রেখেছিলেন। শেষ বাঁশি তাঁদেরকে নির্বাক করে দিয়েছে। লাখো জনতার সমাবেশে নেমে আসে সুনসান নিরবতা।
মাদ্রিদের ১৮ বছরের রাউল বলেন,‘‘আমরা সুখী ও গর্বিত। খেলাটা পেনাল্টি শুটআউট পর্যন্ত যেতে পারতো। কিন্তু ইনিয়েস্তা আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। ২০০৮ এ ইউরো শিরোপা জেতার পরে বিশ্বকাপটাও আমাদের প্রাপ্য ছিল। ’’
২৫ বছরের তরুণ আদলফো বলেন,‘‘এটা সুখের এবং অসাধারণ এক অনুভূতি। ’’ এক তরুণী বিখ্যাত অক্টোপাস ‘জ্যোতিষী’ পলের ছন্দবেশ ধরেছিলেন।
প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাদ্রিদের প্রধান চৌরাস্তায় সমবেত হয়েছিলো বড় পর্দায় খেলা দেখতে। শেষ বাঁশি বাজতে না বাজতেই জনতা ‘ স্প্যানিশ স্প্যানিশ, উই আর স্প্যানিশ’’ এবং ‘‘ভিভা এস্পানা’’ বলে চিৎকার শুরু করে। সেই সঙ্গে আতশবাজি, কান ফাটানো গাড়ীর হর্ণ ও কলরব চলতে থাকে। অনেকেই আনন্দ অশ্রু ফেলেন।
নেদারল্যান্ডসের জন্য চিত্রটা ছিল অন্যরকম। আমস্টারডামের মিউজিয়ামপ্লেইন স্কোয়ারে সমবেত হওয়া প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার দর্শক খেলা শেষে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন। উৎসবমুখর পরিবেশে নেশে আসে বিষাদ। চোখের জল নিয়ে ঘরে ফেরেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘন্টা, জুলাই ১২, ২০১০