ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

গাজীর ট্যাঙ্কে ডুবলো মোহামেডান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০
গাজীর ট্যাঙ্কে ডুবলো মোহামেডান

ঢাকা: বগুড়ায় হুহু শীতের বাতাসে মোহামেডানের খেলোয়াড়দের ওপর রানের তুষারপাত ঘটায় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স। হৃদ স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

৩৪০ রান তাড়া করে জয়ও তুলে নেয় গাজী ট্যাঙ্ক। এরপরে প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা স্বাভাবিক থাকে কি করে?

অথচ মোহামেডানের ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি আছে। একটি নাজিমুদ্দিনের ১১৫ বলে ১১৫ রান। অন্যটি অলক কাপালির হার না মানা ১০৮ রান। চোখধাঁধানো দুটি ইনিংস। তামিম ইকবাল ১২ রানে বোল্ড আউট হওয়ার পরে নাজিমউদ্দিন জুটি বেঁধেছিলেন ইংল্যান্ড থেকে আসা মঈন আলীর সঙ্গে। মঈনও ব্যক্তিগত ৩২ রানে নাসির আলীর শিকার হয়েছেন।

তৃতীয় জুটিতে নাজিম এবং শামসুর রহমান এতটাই ভালো ব্যাটিং করেন, বড় স্কোর গড়তে অসুবিধা হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ২৪০ রানে গিয়ে জুটি ভাঙ্গে। অলক কাপালির শিকার হওয়ার আগে অসাধারণ কিছু স্ট্রোক খেলেন নাজিমউদ্দিন। ১৩টি চার এবং দুটি ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে। শামসুর রহমান ১০৮ রানে চারটি চার ও চারটি ছয়ের মার ছিলো।

এরপর ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স অপরাজিত ৩৪ রান যোগ করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৩৩৯ রান করে সাদাকালো শিবির।

নিখাদ ব্যাটিং উইকেট পেয়ে গাজীর ট্যাঙ্ক থেকে রানের ফোয়ারা ছোটাতে থাকেন সাব্বির রহমান, শাহরিয়ার নাফিস, শ্রীধরম শ্রীমান এবং অলক কাপালি।

শাহরিয়ার নাফিস ১৩১ বলে ১১৪ রান নিয়ে শেষপর্যন্ত ব্যাটিং করেন। ছয়ের জন্য ওপরে বল খেলেননি বললে হয়। তবে ১১টি চার হাঁকিয়েছেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। শ্রীমান ৭৮ বলে ৭৩ রান করেন। শাহরিয়ারকে সঙ্গ দিতে এসে ঝড়ো ব্যাটিং করেন কাপালি। ছয়টি চার ও চারটি ছয়ের মার দিয়ে ৩৫ বলে ৬৩ রান করেন মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। আট বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে গাজী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।