কক্সবাজার: দক্ষিণ এশিয়ান মহিলা ফুটবলে ভারতের সমকক্ষ এখনো কেউ হয়নি। অতএব সাফ ফুটবলের ফাইনালে ভারত আর নেপালের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা নয়-আগে থেকে বলে দেওয়া যায় শিরোপা ভারতের।
ঢাকা এসএ গেমসে দুইবার মুখোমুখি হয়ে ভারত শতভাগ সফল। গ্রুপ পর্বে ৫-০ তে এবং ফাইনালে ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতে ভারত।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপেও ভারতের দাপুটে জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত চারটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে ৩৯ বার! বিপরীতে একটি গোলও হজম করতে হয়নি। ভুটানকে ১৮-০, শ্রীলঙ্কাকে ৭-০ এবং স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৬-০ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ সেরা হিসেবে সেমিফাইনালে খেলে কোচ শহীদ জব্বারের দল। সেমিফাইনালেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে নেপালও ফর্মের তুঙ্গে। টুর্নামেন্টে এখনো কোনো গোল খায়নি। বিপরীতে চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৩৪ বার! মালদ্বীপকে ৬-০, আফগানিস্তানকে ১৩-০ এবং পাকিস্তানকে ১২-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে হারায় ৩-০ গোলে।
দুটি দলই শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ভারতের শক্তি যেমন সাস্মিতা মালিক, বালা দেবীরা তেমনি নেপালের ভরসা দুই স্ট্রাইকার যমুনা ও অনু লামা। প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ১৩টি গোল করে শীর্ষ গোল দাতা সাস্মিতা। তার পেছনেই রয়েছেন নেপালের দুই স্ট্রাইকার অনু লামা (১১) ও যমুনা (১০)।
তাই প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপালকে মোটেও দূর্বল ভাবছেন না ভারতীয় কোচ শহীদ জব্বার। বললেন,“আসলে এই টুর্নামেন্টে নেপালের খেলা আমার দৃষ্টি কেড়েছে। মনে হচ্ছে তাদেরকে হারানো একটু কঠিন। বিশেষ করে অনু লামা এবং যমুনা গুরুংকে দমিয়ে রাখা সম্ভব না হলে প্রতিপক্ষ গোলের সুযোগ পাবে। আমরা সুযোগটা দিতে চাই না। ”
নেপালের কোচ ধ্রুব বাহাদুর বলেন,“জানি ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আমার মেয়েরা দারুণ উজ্জীবিত। নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই হবে। ”
কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘন্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০