ঢাকা: প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দ্বিতীয় ম্যাচেই হোঁচট খেলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রাইম দলেশ্বরের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
রাজশাহী স্টেডিয়ামে আরমান হোসেন ৩৩, মো. জাহিদ ৫৬, নাদিফ চৌধুরী ৭৩ এবং নিজাম উদ্দিনের অপরাজিত ৫৪ রান মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৫৯ করে প্রাইম দলেশ্বর। মোহামেডানের পেসার সুভাশিষ রায় ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে নেন চার উইকেট।
জবাবে তামিম ইকবালের ৪৯ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস, পাকিস্তান বংশো™ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলীর ৫৯, সাকিব আল হাসানের ৩৩ এবং ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের ৩৩ রানে শেষপর্যন্ত দলেশ্বরের সমান ২৫৯ রান তুলতে সমর্থ্য হয় সাদাকালো শিবির।
বলতে হয় তামিমের কল্যাণ্যে পরাজয়ের হাত থেকে বেঁচে গেছে মোহামেডান। সাতটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন জাতীয় দলের উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান।
বিসেএসপি মাঠে আবাহনী ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। আবাহনীর এটি টানা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টানা দ্বিতীয় বড় পরাজয়।
আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৩২ রান তোলে আবাহনী। রনি তালুকদার ৬৯, মাহমুদউল্লাহ ৩৭, ফরহাদ হোসেন হার না মানা ৪৫ এবং ইমরুল কায়েস ২৬ রান করেন।
এরপর ব্যাট করতে নেমে ১১৩ রানে অল-আউট হয় তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আসিবুল আলম সর্বোচ্চ ৪৭ এবং মোহাম্মদ ফুরকান ২৩ রান করেন। আবাহনীর তাপস বৈশ্য ৩টি, সাকলাইন সজিব, ফরহাদ হোসেন এবং আলাউদ্দিন বাবু ২টি করে উইকেট নেন।
এদিকে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সূর্যতরুণ কাবকে ৮ উইকেটে হারায় বিমান।
জুনায়েদ সিদ্দিকের ৬০ ও রাজিন সালেহ’র ৪৫ রানের ইনিংস দুটি অল-আউটের আগে সূর্যতরুণকে পৌঁছে দেয় ১৫৪ রানে। পাঁচ উইকেট নেন ইলিয়াস সানি।
জবাবে মুশফিকুর রহিমের হার না মানা ৭৭, সানোয়ার হোসেনের ২২ এবং অভিষেক মিত্রর ৩২ রানের সুবাদে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৩.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বিমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০