ঢাকা: পেশাদার ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন কর্মকর্তারা। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কাজকর্মে পুরোপুরি অপেশাদার বলা চলে।
বোর্ড পরিচকালকদের হেয়ালির শিকার কর্মচারিরা রীতিমতো হতাশায় ভুগছেন। গেল তিনবছর হলো বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট নেই। পদন্নোতি থেমে আছে ১০ বছর ধরে। গেল ১১ বছরে কেবল একজন মানুষের পদন্নোতি হয়েছে। তিনি হলেন উপ-মহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
বেতন বৈষম্য এবং পদন্নোতি না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে কোচসহ স্থানীয় কর্মচারীদের মনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ১০ বছর চাকরি করে যে বেতন পাই একজন নতুন নিয়োগ পেয়ে একই বেতন পায়। এতে করে ভালো কাজের সুযোগ থাকে না। মন খারাপ হয়। ”
সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিসিবি’র সাবেক সভাপতি লে. জে. সিনাহ ইবনে জামালী প্রশাসনিক নিয়ম চালু করলেও পরবর্তীতে সেগুলো মানা হয়নি। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিও বিসিবি বেতনভুক্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য ইনক্রিমেন্ট এবং পদন্নোতির বিষয়ে সুপারিশ করেছে। প্রায় একমাস হতে চলেছে কর্মচারীদের বেতন-বোনাস এবং পদন্নোতির দিকটি পুন:মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিইও এবং সিএফওকে। কিন্তু সেই কার্যাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ বাংলানিউজকে মঙ্গলবার বলেন,“নির্বাহী কমিটি থেকে অনুমোদন দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে আমি এখনো বসতে পারিনি। এটা আমার গাফিলতি। আশা করি শিগগিরই কর্মচারীদের বেতন, বোনাস এবং পদন্নোতির বিষয়টি মূল্যায়ন করতে পারবো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০