কক্সবাজার: সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মঙ্গলবার যমুনা গুরংয়ের জোড়া গোলে স্বাগতিকদের ৩-০ তে হারিয়ে ফাইনালে উঠে নেপাল।
কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে খেলায় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপালী ফরোয়ার্ডদের মুহুর্মুহু আক্রমণ থামাতে হিমশিম খেতে হয় অধিনায়ক তৃষ্ণা চাকমার দলকে। দুই স্ট্রাইকার অনুলামা ও যমুনা গুরাংয়ের ঝটিকা আক্রমণে ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় নেপাল। বাঁ প্রান্ত থেকে
অনুলামার ক্রসে বল হেডে জালে পাঠান যমুনা। ১-০ তে এগিয়ে যায় নেপাল।
তবে রক্ষণভাগে ফারহানা খাতুনদের দৃঢ়তায় বিরতির আগে আর কোনো গোল হজম করতে হয়নি কোচ গোলাম রব্বানীর দলকে। অনুলামা ও যমুনাকে কড়া মার্কিংয়ে রাখায় ব্যবধান বাড়াতে নেপালকে অপেক্ষা করতে হয় ৭২ মিনিট পর্যন্ত। গোলমুখে জটলা থেকে সাজানা রানার পাসে গোলরক্ষক সাবিনা আক্তারকে পরাস্ত করেন অনুলামা।
চার মিনিট পরই (৭৭ মিনিট) নেপালকে ৩-০ তে এগিয়ে দেন যমুনা। বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে একক চেষ্টায় নিশানা ভেদ করেন নেপাল অধিনায়ক। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ায় শেষ দিকে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।
সেমিফাইনাল থেকে দলের বিদায়ে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানি বলেন,“মূলত অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে। নেপাল দলে বেশ ক’জন ভালো খেলোয়াড় আছে। যারা অনেক দিন ধরে খেলছে। তাদের অভিজ্ঞতা ও কৌশলের কাছে হেরেছি আমরা। ”
অধিনায়ক তৃষ্ণা চাকমার কন্ঠেও একই সুর। বলেন,“এই টুর্নামেন্ট খেলেই বসে থাকতে হবে আমাদেরকে। অথচ সারা বছরই ফুটবল খেলে নেপালের মেয়েরা। অনিয়মিত খেললে তো আর ভালো ফলাফল আসবে না। ”
নেপাল কোচ ধ্রুব বাহাদুর দৃষ্টিতে জয়টা প্রত্যাশিত ছিলো,“এসএ গেমসের ফাইনালে খেলেছি। তাই এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে একটা চাপ ছিলো। দল ভালো খেলেছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে জয় তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশও ভালো খেলেছে। কিন্তু গতি ও কৌশলে তারা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলো। আশা করি ফাইনালে ভারতের সঙ্গে ভালো লড়াই হবে। ”
অবশ্য জয়টা আরো বড় আশা করেছিলেন নেপাল অধিনায়ক যমুনা,“আরো বড় ব্যবধানে জয় আশা করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো খেলায় সেটা সম্ভব হয়নি। ”
বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে নেপাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১০