ঢাকা: বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি হবে এক জানুয়ারি থেকে। টিকিট পাওয়া যাবে সিটি ব্যাংকে।
সোমবার স্থানীয় আয়োজক কমিটির সভাতেও কর্মকর্তারা একমত হতে পারেননি। উল্টো সিটি ব্যাংকে টিকিট বিক্রির সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। মতোবিরোধ দেখা দেয় কর্মকর্তাদের মধ্যে।
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে মানিগ্রামের লেনদেন বেশি হওয়ায় বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির অনুমোদন পায়। মূলত আইসিসির পার্টনার হিসেবে মানিগ্রাম এই অধিকার দেয় সিটি ব্যাংকে। ইচ্ছের বিরুদ্ধেও বিষয়টি মেনে নিতে হচ্ছে বিসিবি কর্মকর্তাদের।
ভারত এবং শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো জেলায় জেলায় টিকিট বিক্রির শাখা ব্যাংক নির্বাচন করতে পারেনি। দেরি করে টিকিট বাজারে ছাড়ার কারণ সম্পর্কে বিসিবি বিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস সোমবার বলেন,“এখনো চেয়ারের নম্বর করা হয়নি। সেটা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই টিকিট ছাড়া হবে। ”
বিশ্বকাপ ভেন্যু স্টেডিয়ামে চেয়ার বসেছে। আসন সংখ্যাও নির্ধারিত হয়েছে অনেক আগে। তবুও টিকিট বাজারে ছাড়া হচ্ছে না।
এদিকে সোমবার বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা মূলতবি করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোমবারের সভার বাকি সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান জালাল ইউনুস।
বিশ্বকাপ ভেন্যু পরিদর্শক দল বাংলাদেশের মাঠগুলো দেখার পার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি। সামান্য কিছু পরিবর্তনের সুপারিশও করেছে আইসিসি ভেন্যু পরিদর্শক দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের ট্রাইভিশন পেছনে সরিয়ে নেওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের অন্যদুই সহ-আয়োজক ভারত এবং শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে বলে মতামত দিয়েছে পরিদর্শক দল।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০