ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামগুলো ‘শ্বেতহস্তি’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১০
বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামগুলো ‘শ্বেতহস্তি’

পোলকওয়ানে: বিশ্বকাপের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পুনর্গঠন করেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপুল ব্যয়ে গড়ে তোলা এসব স্টেডিয়ামগুলো এখন দেশটির জন্য শ্বেতহস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পোলকওয়ানের কথাই ধরা যাক। উত্তরাঞ্চলীয় লিমপপো প্রদেশের এ শহরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু ওই শহরে কোনো পেশাদার ফুটবল বা রাগবি দল নেই। যেখানে পিটার মোকাবা স্টেডিয়ামটি গড়ে তুলতে খরচ হয়েছে ১৬৮ মিলিয়ন ডলার (১.৩ বিলিয়ন র‌্যান্ড)।

এই মাঠে মাত্র চারটি ম্যাচ হয়েছে। ৪০ হাজার আসনের স্টেডিয়ামটি এখন অলস পড়ে থাকবে। অথচ স্টেডিয়ামটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর সরকারের কোষাগার থেকে বেরিয়ে যাবে কমপক্ষে ১৭ মিলিয়ন র‌্যান্ড।

এরকম আরো অনেক স্টেডিয়ামই বোঝা হয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। বিশ্বকাপের ১০টি স্টেডিয়ামের মধ্যে নতুন নির্মাণ করা হয়েছে ৫টি। বাকিগুলো খোল নলচে পাল্টে সাজানো হয়েছে। শুধু স্টেডিয়ামের পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১.৭ বিলিয়ন র‌্যান্ড (১.৫ বিলিয়ন ডলার)।

২ লাখ ৩৫ হাজার অধিবাসীর ছোট্ট শহর নেলসপ্রুইটের এমবোম্বেলা স্টেডিয়ামটি তবু কিছু কাজে লাগানো যাবে। মাঠটি প্রাদেশিক পেশাদার ফুটবল কাব এমপুমালাঙ্গা ব্ল্যাক এইসেস ব্যবহার করার চিন্তা করছে। অন্তত নতুন মাঠে কিছু ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবছে তারা।

পোর্ট এলিজাবেথে পেশাদার কোনো ফুটবল দলই নেই। বিশ্বকাপ শেষে শহরের নেলসন ম্যান্ডেলা বে স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে দ্বিতীয় বিভাগের রাগবি দল মাইটি এলিফ্যান্টস। সেক্ষেত্রে শহরের পুরনো রাগবি স্টেডিয়ামটি ভেঙ্গে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলোকেও নিজস্ব ঠিকানা বানিয়ে ফেলছে স্থানীয় দলগুলো। তবে বড় শহরগুলোর স্টেডিয়াম রাখা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য।

সবচেয়ে বড় ভেন্যু জোহানেসবার্গের সকার সিটি (৯৪ হাজার আসন) স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ শেষেই আয়োজন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার রাগবি টেস্ট। সোয়েটোর ওরল্যান্ডো স্টেডিয়ামে এর আগে সুপার ফরটিন রাগবি ফাইনাল প্রতিযোগিতা সফল হওয়ায় এ উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সকার সিটির পরিচালক এনদাভে রমাকুয়েলা বলেন,‘‘ আমরা নগর কর্তৃপক্ষের পক্ষে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানীগুলোর হাতে স্টেডিয়াম ব্যবস্থাপনার ভার ছেড়ে দেওয়ার জন্য শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করবো। আমরা এরই মধ্যে অনেকগুলো রাগবি ও ফুটবল সংস্থার সঙ্গে স্টেডিয়াম ব্যবহার করা নিয়ে আলোচনা করেছি। ’’

এসব স্টেডিয়ামগুলো সরকারের জন্য শ্বেতহস্তিতে পরিণত হচ্ছে বিষয়টি একেবারেই মানতে রাজি নন দেশটির অর্থমন্ত্রী প্রভিন গর্ধান। তিনি মনে করেন বিশ্বকাপের জন্য তাদের অর্থনীতি এই বছরে আরো ০.৫ শতাংশ বেড়েছে। নতুন অবকাঠামোগুলো দীর্ঘ মেয়াদে দেশটির উপকারেই আসবে বলে বিশ্বাস করেন মন্ত্রী।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘‘ যদি একটি রাস্তা করা হয় তাহলে বিশ্বকাপ শেষেই সেটা উধাও হয়ে যাবে না। এছাড়া টুর্নামেন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে একসুতোয় বেঁধেছে। ’’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘন্টা, জুলাই ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।