ঢাকা: ওপর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে মনে হচ্ছিলো নাটকের মঞ্চ। থোকা থোকা আলো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ছড়ানো।
স্টেডিয়ামের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের ছয়টি লাইট পোস্টে সবগুলো বাতি লাগানোর কাজ শেষ হলেও, সেগুলোকে মাঠের অবস্থান অনুযায়ী সাজানো হয়নি। যারা এই কাজটি করবে সেই অ্যাবাকাস ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসবে ১২ ডিসেম্বর।
এবিষয়ে বিস্তারিত অবগত না হয়ে দিন-রাতের ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্তে বহাল থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ অ্যাবাকাসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারস লিমিডের পরিচালক রেজওয়ান মুস্তাফিজ জানান,“লাইট বুঝিয়ে দেওয়ার আগে ব্যবহার করা অন্যায় হবে। যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফ্যাড লাইট। আমরা বিসিবিকে অনেক করে অনুরোধ করেছি দিনে খেলা চালানোর জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। ”
বিসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের একপ্রকার বিরোধ তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়। ফ্যাড লাইট জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ছিলো নভেম্বর মাসে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করে অ্যাবাকাসের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান। এবিষয়ে অবগত হওয়ার পরেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিচালক আব্দুর রহমান বিসিবিকে বিস্তারিত জানাননি। এমনকি রোববার রাতেও তিনি ঘোষণা দেন দিন-রাত্রির ম্যাচ হবে। লাইটগুলো আমরা ঘুুরিয়ে দেব। ”
গত তিনদিন ধরে লাইট জ্বালাতে গিয়ে তিনবার সার্কিটে আগুন ধরে যায়। প্রতিবার পরীক্ষা করে নতুন সার্কিট লাগানো হয়। শেষে রোববার সফল হয় ছয়টি পোস্টের সবগুলো লাইট জ্বালাতে।
ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট জানায় আগামী ১২ ডিসেম্বর অ্যাবাকাস ঢাকায় আসবে। কাজ শেষ করতে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর খেলা চালানো সম্ভব হবে।
সাধারণত দিবা-রাত্রির ম্যাচ হলে পিচের ওপর আলো দরকার হয় ২৪ থেকে ২৫ শত লাক্স। ৩০ গজের মধ্যে ২২ শত লাক্স এবং বাউন্ডারি লাইনে নূন্যতম ১৮ শত লাক্স।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০