ঢাকা: অনেক নাটকের পর রাত সাড়ে আটটায় জানা গেলো দিবা-রাত্রির ম্যাচ হচ্ছে না। তবে খেলা বাতিল হয়নি, এগিয়ে আনা হয়েছে।
ফ্যাড লাইটের আলো মাঠের চারিদিকে যথাযথভাবে বিচ্ছুরিত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে দিন-রাতের ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। আচমকা ম্যাচের সময় সূচিতে পরিবর্তন আনায় জিম্বাবুয়ের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়নি।
সিরিজ শুরুর দিন থেকে ফ্যাড লাইট জালানোর চেষ্টা হয়েছে। চারদিন ধরে লাইট সবগুলো জ্বালানো হলেও আলো বিচ্ছুরিত হওয়ার বিষয়টি কারো চোখে পড়েনি। শেষ প্রস্তুতি দেখার জন্য বিসিবি কর্মকর্তারা রোববার বিকেলে মাঠে উপস্থিত হয়ে অবাক হন। সেন্টার উইকেট এবং ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো থাকলেও বাউন্ডারি লাইনের দিকে চাইনিজ রেস্তোরার মতো আধো-আলো অবস্থা। অপর্যাপ্ত আলো দেখে সন্ধায় অনুশীলন না করে হোটেলে ফিরে যায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এসে খানিক সময় ফিল্ডিং প্র্যাকটিসের চেষ্টা করেন। কিন্ত আলোর অভাবে তাদেরকেও হোটেলে ফিরতে হয়।
ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড তখন হোটেলে নিজের কক্ষে বিশ্রামে ছিলেন। হঠাৎ বিসিবি থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফ্যাড লাইটের আলো দেখার জন্য তাকে ডাকা হয়। রাত আটটার পরে ক্রিস মাঠে উপস্থিত হন। আলো দেখে সেল ফোনে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেন। শেষে সিদ্ধান্ত দেন দিন-রাতের খেলা করা সম্ভব নয়।
খেলা এগিয়ে আনার বিষয়ে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাংবাদিকদের বলেন,“ফ্যাড লাইট জ্বালানো হলেও আলো সবদিকে সমানভাবে বিচ্ছুরিত না হওয়ায় সকালে খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ”
খেলা এগিয়ে আনায় দর্শকদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন লিপু,“অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য আমরা সত্যিই দুঃখ। আশা করি দর্শকরা সকালে এসে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দেবেন। ”
এদিকে তৃতীয় ওয়ানডে দিনে হওয়ায় বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০
এসএ