ঢাকা: খেলা শেষে সবাই যখন উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন তখন কান্না চেপে রাখতে পারছিলেন না মোহাম্মদ আশরাফুল। আনন্দ অশ্রু নয়।
কেউ কেউ আশরাফুলের কান্নার খবর প্রচার করে আনন্দ পাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে ক্রিকেট মহল থেকে সাংবাদিক মহলে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশরাফুল হোটেলে ফিরেছেন। সবকিছু হয়তো আগের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু একাদশ থেকে দ্বাদশ ক্রিকেটার হয়ে যাওয়ার ক্ষত অনেকদিন পোড়াবে লিটল মাস্টার খ্যাত এই ক্রিকেটারকে।
আগেও দ্বাদশ ক্রিকেটার ছিলেন আশরাফুল। তখন কষ্ট হয়নি। এখন কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। পানির বোতল নিয়ে অন্যদের সেবা করতে যাওয়া সত্যিই অপমানের। সাকিব আল হাসান, তিন নির্বাচক এবং কোচ জেমি সিডন্স আশরাফুলকে দিয়ে সেই কাজটিই করিয়েছেন।
সাবেক অধিনায়ককে দ্বাদশ খেলোয়াড় রাখার কারণ জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন,“ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে আশরাফুলকে দ্বাদশ ম্যান করা হয়েছে। কাউকে না কাউকে তো দ্বাদশ খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হতো। ”
একাদশ থেকে ছেটে দ্বাদশ খেলোয়াড় করা একজন সাবেক অধিনায়কের জন্য অপমানের নয় কিনা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন,“ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে!”
আশরাফুল শুধু বলেছেন আগেও অনেকবার দ্বাদশ ম্যান হয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। আসলে বলতে পারেননি। এরপর কান্নার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০