গুয়াংজু থেকে: ২৩৯ সদস্যের দল বিশাল বহর নিয়ে এশিয়ান গেমসে এসেছিলো বাংলাদেশ। খেলাধুলায় অনগ্রসর একটি দেশের জন্য সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ মোট পদক জিতেছে তিনটি। এই প্রথম স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস গড়েছে ছেলেদের ক্রিকেট দল। এবারই প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খেলাটি। প্রথম আসরেই বাজিতাম। মেয়েদের ক্রিকেট থেকে এসেছে একটি রৌপ্য পদক। এছাড়া কাবাডির মেয়েরা চতুর্থ হওয়ায় ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।
গেমসে মোট ১৬টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১৪টি খেলাতে সুবিধা করতে পারেনি। শুধুই ব্যর্থতার গল্প। বিশেষ করে ছেলেদের কাবাডির ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। এই প্রথম শূন্য হাতে এশিয়ান গেমস শেষ করে দেশে ফিরতে হয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে টানা পদক জয়ী কাবাডি দলকে।
কর্মকর্তাদের খেয়ালি পনায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে কাবাডিকে। জিয়াউর রহমানের মতো সেরা রেইডারকে স্কোয়াডে রাখেনি। সেরা কোচ আব্দুুল জলিলকেও ছেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কাবাডির কর্মকর্তারা।
হকির ব্যর্থতাও দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। দোহা এশিয়ান গেমসে সপ্তম স্থান পাওয়া দলটি গুয়াংজু থেকে দেশে ফিরেছে অষ্টম হয়ে। ভারত, জাপান, চীন এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়কে মেনে নেওয়া গেলেও স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ওমানের কাছে ৫-৬ গোল ব্যবধানে পরাজয় লজ্জায় ফেলে দিয়েছে জাতিকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খেলা শ্যুটিংয়েও পাত্তা পায়নি। ছেলেমেয়ে উভয় ইভেন্টেই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নানা অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন শ্যুটাররা।
মার্শল আর্ট বিভাগের কোন ইভেন্টেই দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বক্সিং, তায়কোয়ান্দো এবং কারাতে ইভেন্টে পড়ে পড়ে মার খেয়েছে।
গেমস চলাকালে দাবার খোঁজ খবর তেমন একটা পাওয়া যায়নি। ফলাফল সম্পর্কে বিওএ কর্মকর্তারা কোন তথ্য দেননি। এমনকি দাবার কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যায়নি।
সবার আগে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে হালি হালি গোল খেয়ে দেশে ফিরেছে। আর্চারি, সাঁতার এবং অ্যাথলেটিক্সে বলার মতো কিছু হয়নি।
গুয়াংজু সময়: ১৯১৩ ঘন্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০