আবু ধাবি : টেল এন্ডারদের ব্যাটে ফলোঅন এড়িয়ে টেস্টের চতুর্থ দিনেই হার এড়ানোর ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিলো পাকিস্তান। ৩৫৪ রানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বুধবার দিন শেষে তিন উইকেটে ১৫৩ রান করলে আবু ধাবি টেস্টের পরিণতি হয় ‘ড্র’।
স্কোর-
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৩/৩ (৬৭ ওভার), প্রথম ইনিংস: ৪৩৪
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ২০৩/৫ ডি. (৫৫ ওভার), প্রথম ইনিংস: ৫৮৪/৯ ডি.
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াসরা আগের দিনের (১৭৩/৪) সঙ্গে ৩০ রান যোগ করেই ইনিংস ঘোষণা করে মার্ক বাউচারের (১৫) উইকেটটি হারিয়ে। ২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা অ্যাশওয়েল প্রিন্স অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
জবাবে পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ও তৌফিক ওমর ধীর গতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন।
লাঞ্চ পর্যন্ত দলের কোনো বিপদ ঘটতে দেননি তারা। লাঞ্চে যাওয়ার আগে ৬৬ রান তোলে উদ্বোধনী জুটি। তবে লাঞ্চ থেকে ফিরেই পাকিস্তানকে বড় একটা ঝাঁকুনি দেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার পল হ্যারিস ও জন বোথা। টানা দুই ওভারেই তিন উইকেট তুলে নেন তারা।
আগের রানের সঙ্গে কোনো রান যোগ না হতেই ফিরে যান তৌফিক, হাফিজ ও ইউনিস খান। প্রথম আঘাত হানেন বোথা। তৌফিক ওমরকে (৩০) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। পরের ওভারে তিন বলে আরো দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২১.২ ওভারে হ্যারিস এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ হাফিজকে (৩৪)। এক বল বাদে একইভাবে ফিরিয়ে দেন নতুন ব্যাটসম্যান ইউনিস খানকেও।
ব্যাট হাতে দলের এই আকষ্মিক বিপর্যয় সামলে নেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও আজহার আলী। এই জুটির দৃঢ়তায় পরে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১৫৩ রানে দিন শেষ করে পাকিস্তান। মিসবাহ ৫৮ আর আজহার অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।
হ্যারিস ২৮ রানে নেন দুই উইকেট । এছাড়া ৪০ রান খরচ করে একটি উইকেট নেন জন বোথা।
ম্যাচ সেরা হন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আর সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন জ্যাক ক্যালিস।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘন্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০