ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

আলোচনা ছাড়াই দুঙ্গার বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১০
আলোচনা ছাড়াই দুঙ্গার বিদায়

রিও ডি জেনেরিও: ব্রাজিলের কোচ কার্লোস দুঙ্গাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। সঙ্গে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যদেরও বিদায় দেওয়া হচ্ছে।

 

রোববার এ তথ্য জানায় সিবিএফ।

 

দেশে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে ১৯৯৪’র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেছিলেন, এক থেকে দুই সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ফেডারেশন সভাপতি রিকার্দো তেইজেরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তখনো ভাবতে পারেননি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সিবিএফ। বরখাস্ত হওয়ার পর দুঙ্গার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।


৪৬ বছর বয়সী দুঙ্গা ২০০৬ সালে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর কোচিংয়েই ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকা কাপ এবং ২০০৯ সালে কনফেডারেশন্স কাপ জেতে ব্রাজিল। এরপর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে একের পর এক ম্যাচ জিতে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষ দল হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও দারুণ শুরু করেছিলো। গ্রুপ পর্বে কোন ম্যাচ হারেনি। শীর্ষ ১৬’র ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। দুর্ভাগ্যের শিকার হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে শিরোপা প্রত্যাশিরা।


সাম্বাদের বিশ্বকাপ অভিযান থেমে যাওয়ার দিনই কোচের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক সফল অধিনায়ক।   এরপরেও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের প্রতি সামান্য সম্মানটুকু দেখানোর প্রয়োজনবোধ করেননি ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। বরং কোচ দুঙ্গার ব্যর্থতাকে সামনে এনে বরখাস্ত করে।  


নতুন কোচ হিসেবে স্কলারিসহ অনেকের নামই শোনা যাচ্ছে। তবে ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ লুইস ফেলিপ স্কলারি এখনো সাড়া দেননি। উল্টো বেতারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত পালমেরিয়াস কাবের সঙ্গে চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবেন তিনি।


স্কলারি বলেন,“ব্রাজিলকে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শেষ করতে পারা আমার জন্যে বড় সম্মানের। কিন্তু ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত আমি কোন প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারবো না। ”


এছাড়া অন্যদের মধ্যে কোরিন্থিয়াসের কোচ মানো মেনেসেস, এসি মিলানের বস লিওনার্দো এবং দুঙ্গার সহকারী জর্জিনহোর নামও জোরেসোরে আলোচনায় আসছে।


এদিকে দেশে ফেরার পরই সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হয় ব্রাজিলের ব্যর্থ ফুটবলারদের। শুধু কটু কথাতেই থেমে থাকেনি সমর্থকরা। ঘুষি দেখানো থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের ধাক্কা পর্যন্ত দিয়েছে।


আত্মঘাতি গোল এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া ফেলিপ মেলোর প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিলো সমর্থকদের। খলনায়ক হিসেবেই তাকে দেখছে ব্রাজিলের মানুষ। নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজয়ের কারণ হিসেবে তাকেই দায়ী করছেন তারা।


বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘন্টা, জুলাই ০৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।